‘স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’-এ স্লোগান সামনে রেখে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে টঙ্গী পূর্ব থানা কার্যালয়ে চালু হয়েছে স্মার্ট পুলিশিং সার্ভিস। উৎসবমুখর পরিবেশে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই সেবা কার্যক্রম চালু হয়। অনেকে বলছেন, এই সেবা সঠিকভাবে কার্যকর করা গেলে জনভোগান্তি কমবে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, সিটি করপোরেশন এলাকায় আটটি থানা নিয়ে গঠিত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম চালু হওয়ার পর পর্যাপ্ত জনবলের অভাব, গাড়ি সংকট ও কতিপয় অসাধু পুলিশের কর্মকান্ডে সেবাবঞ্চিত নগরবাসী। সেবা গ্রহীতারা থানায় এসে হয়রানির শিকার হন। এসব কারণে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পুলিশিং সেবা পৌছে দিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্তমান কমিশনার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। সেবা গ্রহিতারা থানায় এসে প্রথমে টোকেন সংগ্রহ করবেন। যে কোনো নাগরিক থানায় এসে টোকেন নেওয়ার পর অতি সহজে আইনি সহযোগিতা পাবেন। সেবা পাচ্ছেন কিনা এ নিয়ে যাবতীয় প্রক্রিয়া অ্যাপসের মাধ্যমে মনিটরিং করবেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ফলে সেবা গ্রহীতারা থানায় এসে শতভাগ সেবা নিশ্চিত হয়ে ফিরবেন। এই প্রক্রিয়ায় নাগরিকরা হয়রানি কিংবা দালালের খপ্পর থেকেও রেহাই পাবেন। এরপর পর্যায়ক্রমে নগরীর প্রতিটি থানায় এই সেবা চালু হবে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, কমিশনার স্যারের নির্দেশে চালু হওয়া স্মার্ট পুলিশিং সার্ভিসিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সেবা গ্রহীতারা থানায় এসে সেবা পাচ্ছেন নিয়মিত। কোনো পুলিশ সদস্য কিংবা কর্মকর্তা গ্রাহকসেবা প্রদানে অবহেলা করলে রয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, এখন থেকে সেবাগ্রহীতারা থানায় এসে আর হয়রানি হবেন না। থানায় এসে টোকেন সংগ্রহ করবেন। এরপর সেবা প্রার্থীরা মুখে বলবেন আর পুলিশ লিখবে। টোকেন নেওয়ার পর যাবতীয় প্রক্রিয়া অ্যাপসের মাধ্যমে মনিটরিং করবেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ফলে যে কোনো নাগরিক থানায় এসে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অতি সহজে আইনি সহযোগিতা পাবেন।