শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪ আপডেট:

পারমাণবিক বোমার কলঙ্কিত ইতিহাস

প্রিন্ট ভার্সন
পারমাণবিক বোমার কলঙ্কিত ইতিহাস

‘পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ’ কতটা ভয়ংকর হতে পারে তার সচিত্র নমুনা আমরা হিরোশিমা-নাগাসাকিতে দেখেছি। জাপানের এই অঞ্চলগুলো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি বয়ে বেড়াচ্ছে। তাই বলে কি যুদ্ধের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে বিশ্ববাসী! তা বলাটাও বেশ মুশকিল। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখন চলমান। চীন-তাইওয়ান সংকট তো আছেই। উপরন্তু মধ্যপ্রাচ্যের ইরান-ইসরায়েল একে অন্যের ওপর সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বলছে- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র; যা হবে অত্যন্ত ভয়াবহ...

 

তবে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!

বর্তমান বিশ্ব এক ভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন। নানা দিক দিয়ে নানারকম দ্বন্দ্ব-সংঘাতে আটকে আছে পৃথিবী। তন্মধ্যে অন্যতম ইরান এবং ইসরায়েল; মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তি। তাদের শত্রুতাও দীর্ঘদিনের। কিন্তু কেন মধ্যপ্রাচ্যের দুই শক্তিশালী দেশ যুদ্ধের ময়দানে মুখোমুখি? যা আলাদা আলোচনার দাবি রাখে। তবে আজ জানব এই দুই দেশের সংঘাত কেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার, জমি দখল এবং সর্বশেষ ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় গণহত্যা চালিয়ে আসছে। চলতি বছরের শুরুতে দেশটি সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর প্রতিবাদে ইরান ১৪ এপ্রিলে সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালায়। দেশটি ইসরায়েলে সাড়ে ৩০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, ইরানে হামলা হলে আগের চেয়ে ভয়াবহ হামলা হবে। সেই রেশ না কাটতেই মধ্যপ্রাচ্যে আবারও বেজে উঠছে যুদ্ধের দামামা। কারণ ইসরায়েল হিজবুল্লাহ দমনের নামে লেবাননে হামলা চালাচ্ছে। যেখানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাসহ হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। এমনকি তারা ইরানের ভিতরেই হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াকেও হত্যা করে। ফলশ্রুতিতে ১ অক্টোবর ইসরায়েলে স্মরণকালের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। সেদিন ১৮০টি ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। এদিকে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল যে, ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে ইরান হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলকে ধ্বংস করে দেবে। এদিকে ইসরায়েলও দমে যাওয়ার নয়। এক দিকে পারস্য উপসাগরে ইরানকে ‘সবক’ শেখানো অন্যদিকে সারা দুনিয়ার সামনে শক্তি প্রদর্শন। এ জন্য ২৫ দিন পর শুক্রবার রাতে ইসরায়েল আবারও হামলা চালায়। এ হামলায় ইরানের স্বল্প ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি দুই সেনা নিহত হন। এখন দেখার বিষয়- ইরান পাল্টা পদক্ষেপ নেয় কি না! এ ছাড়াও সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত, পশ্চিম আফ্রিকা ও ইয়েমেনের মতো দেশগুলোর ভিতরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি  তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।

 

কার হাতে কত পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র

১৯ শতকে বিশ্ববাসী দেখে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়বহতা। বিশ্বযুদ্ধ দুটি সামরিক অস্ত্রশস্ত্রে সংঘটিত হলেও পারমাণবিক বোমার নৃশংসতার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। এরপর নড়েচড়ে বসে ‘জাতিসংঘ’। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘পারমাণবিক বোমা’ ব্যবহারের আইন জারি হয়। এরপর কেটে যায় অনেক বছর। তবে পারমাণবিক বোমার আতঙ্ক এখনো পিছু ছাড়েনি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সুইডেনের চিন্তক প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) ‘পারমাণবিক বোমা’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানে ৯টি দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েল। যার সংখ্যটা প্রায় ১৩,৪০০ এর কাছাকাছি। যদিও সংখ্যটা ‘শীতল যুদ্ধে’র সময়ের তুলনায় কম। তখন বিশ্বব্যাপী ৬০ হাজারেরও বেশি ‘পারমাণবিক অস্ত্র’ মজুদ ছিল। বর্তমান বিশ্বের দুই পরাশক্তি আমেরিকা ও রাশিয়ার কাছে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ।

 

পারমাণবিক শক্তিতে কে এগিয়ে

ইরান || ইসরায়েল

১৯৯৬ সালে আমেরিকার হাত ধরে দখলদার ইসরায়েল পারমাণবিক অস্ত্র হাসিল করে। এরপর কয়েক দশক দেশটি মানববিধ্বংসী এই অস্ত্রের মজুত বাড়িয়েছে। যদিও ইসরায়েল কখনো তা স্বীকার করেনি। সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)-এর তথ্যমতে, ইসরায়েলের কাছে ৯০টি ‘পারমাণবিক অস্ত্র’ আছে। অন্যদিকে ইরান ১৯৭০ সালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়। ১৯৯০ সালে তারা সে লক্ষ্যে অনেক এগিয়ে যায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি, ইরান ইউরেনিয়াম মজুত করে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। যদিও ইরানের দাবি, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। 

 

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতও উড়িয়ে দেওয়া যায় না

ইউক্রেনের ওপরে রাশিয়ার সর্বাত্মক আগ্রাসনকে অনেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা বলে মনে করেন। রাশিয়ার পক্ষ থেকেও পশ্চিমের প্রতি স্পষ্ট বিশ্বযুদ্ধের হুমকি দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেন, ‘বাইরের কেউ ইউক্রেনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলে এবং রাশিয়ার জন্য কৌশলগত হুমকি হলে আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে বিদ্যুৎগতির। বিশ্লেষকদের মতে, এসব মন্তব্যের মাধ্যমে পুতিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত দেন। ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সাহায্য দেওয়ার বিষয়ে ৪০টি দেশের একটি বৈঠকের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি ছায়াযুদ্ধ (প্রক্সি ওয়ার) চালিয়ে যাচ্ছে যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

 

কী হয়েছিল সেদিন

হিরোশিমা আর নাগাসাকির ইতিহাস মানব ইতিহাসের কলঙ্ক। এত নৃশংস, এত ঘৃণ্য আক্রমণ এর আগে কখনো পৃথিবী দেখেনি। এক মুহূর্তে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু। অসংখ্য মানুষকে তিল তিল করে অনিবার্য মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া, জনপদের পর জনপদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া। হতচকিত হয়ে পড়ে বিশ্বের মানুষ। শুধু কি তাই? তেজস্ক্রিয়তার অভিশাপ থেকে যায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। সেদিন এই ভয়ংকর বর্বরতার জন্য আদৌ প্রস্তুত ছিল না বিশ্বের মানুষ। একসঙ্গে লাখ লাখ মানুষের এভাবে মৃত্যু ছিল অকল্পনীয়। এই অচিন্তনীয় ধ্বংস দেখে সেদিন বিস্ময়ে বোবা হয়ে গিয়েছিল বিশ্ব। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যে কত ভয়ংকর, কতটা মানবঘাতী হতে পারে, তা প্রত্যক্ষ করে মানুষ। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর লিটল বয় এবং এর তিন দিন পর নাগাসাকি শহরের ওপর ফ্যাটম্যান নামের দুটি  পারমাণবিক বোমা ফেলে। অনুমান করা হয়, এই হামলায় হিরোশিমায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার লোক মারা যান। নাগাসাকিতে মারা যান প্রায় ৭৪ হাজার লোক। পরবর্তীতে এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও ২ লাখ ১৪ হাজার। বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগগুলোর ওপর হাসপাতাল  থেকে পাওয়া গণনার তথ্য অনুযায়ী হিরোশিমায় ২ লাখ ৩৭ হাজার এবং নাগাসাকিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার লোকের মৃত্যু ঘটে। দুই শহরেই মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক  নাগরিক। শুধু তাই নয়, ওই দুই দিন মৃত্যুর নাগালের বাইরে যারা থাকতে পেরেছিলেন, তারাও তেজস্ক্রিয়তার ফলে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। যারা এখনো বেঁচে আছেন, তাদেরও ওই তেজস্ক্রিয়তার উত্তরাধিকার বহন করতে হচ্ছে। এর আগে মানুষের জীবনকে এরকম নির্মমভাবে থেঁতলে দেওয়া হয়নি। এখন বিশ্বে যত পরমাণু অস্ত্র আছে, তা দিয়ে পৃথিবীকে অনেকবার ধ্বংস করা সম্ভব।

ছবির মতো সুন্দর দুটি শহর হিরোশিমা ও নাগাসাকিকে ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সেদিন তার পেশিশক্তি প্রদর্শন করতে চেয়েছিল। এখনকার পরমাণু অস্ত্রের তুলনায় হিরোশিমা, নাগাসাকির আণবিক বোমা নেহাতই শিশু। তাই এ কথা আজ বলাই যায় যে, বিশ্বে যে কোনো মুহূর্তে নেমে আসতে পারে সেই করুণ পরিণতি।

 

‘লিটল বয়’ আর ‘ফ্যাটম্যান’ এর নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একেবারে শেষের  দিকের ঘটনা। ৬ আগস্ট বেলা আড়াইটা। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী বিশ্ব মানবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর লিটল বয় নামের নিউক্লিয়ার বোমা ফেলে। মুহূর্তের মধ্যে চমৎকার ঝকঝকে শহরটি পরিণত হয় মৃত্যুকূপে। লিটল বয়ের ওজন ছিল ৬০ কেজি। গন্তব্যে পৌঁছতে এটি সময় নেয় ৫৭ সেকেন্ড। এই সময় অতিক্রম করে ৬০০ মিটার দূরত্ব। এ বিস্ফোরণটি ঘটে ১৩ কিলোটন (টিএনটি)-এর সমান।  সে সময় তাপমাত্রা কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ১০ লাখ সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। আগ্নেয়গিরির মতো বা তার চেয়েও বেশি গরম সামলাতে না পেরে শহরের দুই-তৃতীয়াংশ তখনই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মানুষ-পশু-গাছপালা-বাড়িঘর কিছুই রক্ষা পায়নি। বিস্ফোরণের পর ১ মাইল ব্যাসার্ধের এলাকাজুড়ে ধ্বংসলীলা শুরু হয় এবং হিরোশিমার প্রায় ৯০ ভাগ বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। বোমা নিক্ষেপকারী পাইলট টিবেটস বিমান থেকে শহরের ভয়াবহ ধ্বংসের দৃশ্য দেখে ভয়ে-আতঙ্কে চিৎকার করে বলে উঠেছিলেন, হায় ঈশ্বর এ কি করলাম! হিরোশিমার ভয়াবহতার কারণ বুঝে ওঠার আগেই এর ঠিক তিন দিন পর জাপানেরই নাগাসাকি শহরে দ্বিতীয় বোমা ‘ফ্যাটম্যান’-এর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ কলঙ্কজনক ঘটনার নেপথ্যে ছিল অস্ত্রের উন্নয়নে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের প্রত্যাশায় যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নির্লজ্জ অমানবিক প্রতিযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করা হাঙ্গেরির বিজ্ঞানী ড. লিও জিলার্ড সর্বপ্রথম বোমা তৈরির উদ্যোগ নেন। এ বোমার মানবতাবিরোধী ভয়ংকর ভয়াবহতার কথা বিবেচনা না করেই বিজ্ঞানী আইনস্টাইন সমর্থন জোগান জিলার্ডকে। হিরোশিমায় আনুমানিক ১ লাখ ৪০ হাজার লোক মারা যান। আর নাগাসাকিতে আনুমানিক ৩৯ হাজার লোক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মারাত্মক আহত হন ২৫ হাজার মানুষ।

 

বাতাসে তেজস্ক্রিয়তা

পরিবেশেও এর প্রভাব

‘পরমাণু বোমা’ কতটা ভয়াবহ তার নমুনা আমরা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে দেখেছি। সেই পরমাণু বোমার জেরে জাপানের এই অঞ্চলে এখনো বংশানুক্রমে অন্ধত্ব, বধিরতা ও পঙ্গুত্বের মতো নানা ধরনের জটিল অসুখ হয়ে চলেছে। আর পরিবেশে এর প্রভাব আগে কেউ কল্পনাও করেনি। এখনো হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বন্য পশু-পাখি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না। বেশির ভাগ অঞ্চলে বন্যপ্রাণীরা ঘর ছেড়ে বের হয়ে আসে। ঘর বানালেও এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতির প্রভাব পাওয়া যায় তাদের শরীরে। কিছু ক্ষেত্রে জেনেটিকভাবেও অসুস্থতার প্রমাণ মিলেছে। স্বাভাবিকভাবে গাছও বেড়ে উঠতে পারছে না। তাই আজও হিরোশিমা ও নাগাসাকির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। দীর্ঘ তেজস্ক্রিয়তার রেশ থেকে যাওয়ায় এ অঞ্চলের বাতাস ও মাটি সুস্থ জীবন ধারণের শতভাগ উপযোগী নয়। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে উড়ে আসা পরিযায়ী পাখিদের মাঝেও তেজস্ক্রিয়তার ভয়াবহতা রয়ে গেছে। একবার যেসব পাখি এখান থেকে বেরিয়ে গেছে তারা দ্বিতীয়বার আসছে না। মানুষজনও থাকে আতঙ্কে। তেজস্ক্রিয়তা থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকায় এ অঞ্চলে কেউ থাকতে চায় না।

 

হিবাকুসা!

তেজস্ক্রিয়তায় ঝলসে যাওয়া মানুষের জীবন...

হিবাকুসা। খাঁটি জাপানি শব্দ। অর্থাৎ বিস্ফোরণ আক্রান্ত মানুষজন। যন্ত্রণা আর চোখের জলই যাদের একমাত্র অবলম্বন। মার্কিনি বর্বরতার নৃশংসতম ক্ষতচিহ্ন বহন করছেন ‘হিবাকুসা’রা হিরোশিমা-নাগাসাকির বীভৎসতার সময় থেকে পরবর্তী বংশ পরম্পরায়। কারা এই ‘হিবাকুসা?’ সংজ্ঞা নির্ধারিত ‘দ্য অ্যাটমিক বোম্ব সারভাইভারস রিলিফ’ আইনে। যারা বোমা বিস্ফোরণস্থলের সামান্য কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে ছিলেন। পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের দুই সপ্তাহের মধ্যে যারা বিস্ফোরণস্থলের দুই কিলোমিটারের মধ্যে ছিলেন। যারা বিস্ফোরণ নিঃসৃত তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত- এই তিন অবস্থার মধ্যে থাকা গর্ভবতী মহিলারা। জাপানে এরাই আইনমতে হিবাকুসা। মার্চ ২০০৫ সালে এরা সংখ্যায় ছিলেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৮। এদের বড় অংশই জাপানের। কয়েক হাজার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কোরিয়া ও তার আশপাশে। তথ্য জাপান সরকারের। হিবাকুসারা পেয়ে থাকেন সরকারি সহায়তা। অনুদান হিসেবে কিছু অর্থ দেওয়া হয় প্রতি মাসে। প্রতি বছর বিস্ফোরণের বার্ষিকীতে স্মরণ করা হয় নিহতদের। প্রতি বছর বিগত বছরে নিহত ‘হিবাকুসা’দের নাম লিখে দেওয়া হয় হিরোশিমা-নাগাসকির বুকে। মার্কিনি বোমার তেজস্ক্রিয়তায় ঝলসে যাওয়া নিহতদের স্মৃতিফলকে। দীর্ঘ হয়ে ওঠা এই তালিকা হিবাকুসাদের মতোই বহন করে চলেছে মার্কিনি ‘সভ্যতা’র কুৎসিত ক্ষতচিহ্ন। উল্লেখ্য, আগস্ট ২০০৫-এ হিরোশিমায় নিহত হিবাকুসাদের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৩৭ এবং নাগাসাকিতে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩৯। আজও জাপানের মানুষ ১৯৪৫ সালের এই দুঃস্বপ্নের মতো দিনগুলোকে স্মরণ করে।

হিবাকুসাদের জবানবন্দিতে এভাবেই উঠে এসেছে হিরোশিমায় মার্কিনি নারকীয় পরমাণু বিস্ফোরণের সেদিনের কথা। হিবাকুসাদের এই নিদারুণ জীবন-যন্ত্রণা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ-ধিক্কার ঘৃণায় পরিণত হয়ে চিরদিন দংশন করে চলবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের বিবেককে।

 

হিরোশিমা-নাগাসাকির

একাল || সেকাল

হিরোশিমার বাতাসে এখনো মেলে তেজস্ক্রিয়তা।  পারমাণু হামলার পর পুরো শহর জ্বলে গিয়েছিল। তবে এই হামলার বিপর্যয় খুব ভালোভাবেই কাটিয়ে উঠেছে শহরটি। শহরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ ও স্মৃতিচিহ্ন। হিরোশিমায় যেখানে বোমাটি পড়েছিল সেখানে গড়ে উঠেছে স্মৃতিস্তম্ভ। ১৯৫৫ সালে হিরোশিমা শান্তি স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ হয়। হিরোশিমা ১৯৪৯ সালে জাপানি পার্লামেন্ট দ্বারা শান্তির শহর ঘোষিত হয়। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় যা হয়ে উঠেছে উন্নয়নের নগরী। সারা বছর লাখ লাখ পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন।

 

পারমাণবিক বোমা লিটল বয় মুহূর্তে ছারখার করে দেয় গোটা শহরকে। বিস্ফোরণের পর শহরজুড়ে তৈরি হয় নীল, সাদা রঙের আলো। সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুতে আগুন ধরে যায়। দেড় কিলোমিটারের মধ্যে যা ছিল সব পুড়ে কয়লা হয়ে গেল। হাজার হাজার মানুষ পুড়ে মিশে গেল মাটির সঙ্গে। যারা কিছুটা দূরে ছিলেন তাদের কারও শরীরের মাংস উঠে গেল। কারও হাত-পা উড়ে গেল। কারও চোখ অন্ধ হয়ে গেল। ৪৮ হাজার বড় বড় বাড়ি পুড়ে যায়। মারা গিয়েছিল প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। আহত হয় ২ লাখ মানুষ।

 

মৃত মানুষের শহর না হয়েও নাগাসাকি হয়ে ওঠে মৃত শহর। মানুষ যারা বেঁচে ছিলেন তারা শহর ছেড়ে  চলে যান অন্যত্র। তেজস্ক্রিয়তার কারণে বন্য পশু-পাখিরাও স্বাভাবিক জীবনে স্থির হতে পারেনি। কিন্তু এত বছর পরের দৃশ্য দেখলে যে কেউ অবাক না হয়ে পারবে না। নাগাসাকি বদলে গেছে। ক্ষতচিহ্ন পুরোপুরি না সারলেও শহরটি দেখে বোঝা দায়, আশি শতক আগে কী ভয়াবহতায় গেছে শহরটি। জাপানের অবকাঠামো উন্নয়নের চমকপ্রদ উদাহরণ নাগাসাকি। প্রতিটি দালান রং করা। আকাশচুম্বী দালানের সারিও দেখা যায় এখন।

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে করুণ পরিণতি ভোগ করে নাগাসাকি। ৯ আগস্ট মার্কিনিদের ছোড়া ফ্যাটম্যান বোমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। কিছু বাড়ি উড়ে যায়, কিছু বাড়ি পুড়ে যায়। পর দিন শহরের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে, এখানে মানুষ বসবাস করত। ধারণা করা হয়, প্রায় ৭৪ হাজার মানুষ তখনই মারা যায়। বোমাটি মাটি থেকে ৫০০ মিটার ওপরে বিস্ফোরিত হয়। বোমার তেজস্ক্রিয়তায় শিশুদের মাথার চুল পর্যন্ত উঠে যায়। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখে পৌঁছে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
সর্বশেষ খবর
শেরপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু
শেরপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বাস্তবায়নে সাবেক ডিসিয়ানদের ১০ দফা
সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বাস্তবায়নে সাবেক ডিসিয়ানদের ১০ দফা

৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

লিবিয়ায় দুই দিনে ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার
লিবিয়ায় দুই দিনে ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রেডিয়েশন থেরাপি নিচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন
রেডিয়েশন থেরাপি নিচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গেইশা কফি: প্রতি কেজি ৩৬ লাখ টাকা
গেইশা কফি: প্রতি কেজি ৩৬ লাখ টাকা

১৬ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

সুযোগ থাকলে আমিই প্রথম টাইফয়েডের টিকা নিতাম: ডা. বিধান রঞ্জন
সুযোগ থাকলে আমিই প্রথম টাইফয়েডের টিকা নিতাম: ডা. বিধান রঞ্জন

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

শিশুর মেধা বৃদ্ধির সঠিক পথ: মোবাইল নয়, গল্প, বই ও ধ্যান
শিশুর মেধা বৃদ্ধির সঠিক পথ: মোবাইল নয়, গল্প, বই ও ধ্যান

২৬ মিনিট আগে | জীবন ধারা

একটি আইফোনই ফাঁস করল আন্তর্জাতিক ফোন পাচারের চক্র
একটি আইফোনই ফাঁস করল আন্তর্জাতিক ফোন পাচারের চক্র

২৮ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন; সুপারিশ থেকে বাদ পড়া প্রার্থীরা ফের শাহবাগে
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন; সুপারিশ থেকে বাদ পড়া প্রার্থীরা ফের শাহবাগে

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভোটের লোভে জামায়াত ধর্মকে ব্যবহার করছে: টুকু
ভোটের লোভে জামায়াত ধর্মকে ব্যবহার করছে: টুকু

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু
গাজীপুরে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘আমার স্ত্রী ও বোনকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে’
‘আমার স্ত্রী ও বোনকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে’

৫২ মিনিট আগে | শোবিজ

চাপিয়ে দেয়া কোনো কিছু জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল
চাপিয়ে দেয়া কোনো কিছু জনগণ মেনে নেবে না: ফখরুল

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া পর্যটন কেন্দ্রের ফুট ট্রেইলে দেখা গেল বাঘ
সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া পর্যটন কেন্দ্রের ফুট ট্রেইলে দেখা গেল বাঘ

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাঁচ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে লাগছে পুরো এক দিন: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নরকযাত্রা
পাঁচ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে লাগছে পুরো এক দিন: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নরকযাত্রা

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজা শান্তি সম্মেলনে ইরানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা শান্তি সম্মেলনে ইরানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কোটি টাকা স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কোটি টাকা স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু
নারায়ণগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে শুরু হলো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি
খাগড়াছড়িতে শুরু হলো টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সচেতনতা আর টিকাদানেই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সচেতনতা আর টিকাদানেই টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জৈব সার উৎপাদনে স্বাবলম্বী চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশিক
জৈব সার উৎপাদনে স্বাবলম্বী চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশিক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অষ্টম মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার লড়াইয়ে বিশ্বের প্রবীণতম রাষ্ট্রপ্রধান
অষ্টম মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার লড়াইয়ে বিশ্বের প্রবীণতম রাষ্ট্রপ্রধান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইফয়েড প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু
টাইফয়েড প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়াল স্ট্রিটে রেকর্ড পতন, ট্রাম্পের আমলে সবচেয়ে বড় ধস
ওয়াল স্ট্রিটে রেকর্ড পতন, ট্রাম্পের আমলে সবচেয়ে বড় ধস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু
নওগাঁয় টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্লু অরিজিনের মহাকাশ যাত্রায় প্রথম কাজাখ নারী
ব্লু অরিজিনের মহাকাশ যাত্রায় প্রথম কাজাখ নারী

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সর্বাধিক পঠিত
সাবেক মন্ত্রীর মেয়ের সঙ্গে বাগদান সারলেন ইশরাক
সাবেক মন্ত্রীর মেয়ের সঙ্গে বাগদান সারলেন ইশরাক

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০২৭ বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
২০২৭ বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা ১৫ কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে
ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা ১৫ কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কায় তরল গ্যাস আনা জাহাজে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কায় তরল গ্যাস আনা জাহাজে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারী অস্ত্রসহ পাক সেনাদের ওপর আফগানিস্তানের হামলা, সীমান্তে ব্যাপক সংঘর্ষ
ভারী অস্ত্রসহ পাক সেনাদের ওপর আফগানিস্তানের হামলা, সীমান্তে ব্যাপক সংঘর্ষ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ পণ্ড, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশ পণ্ড, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যে আরেক দেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যে আরেক দেশে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমাকে ক্রসফায়ার করবে বলেই জানতাম: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আমাকে ক্রসফায়ার করবে বলেই জানতাম: সালাহউদ্দিন আহমেদ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভিক্ষুক সালেয়ার ঘরে পাওয়া গেল আরও এক বস্তা টাকা
ভিক্ষুক সালেয়ার ঘরে পাওয়া গেল আরও এক বস্তা টাকা

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইতালির গ্রামে বসবাস করলেই মিলবে ২৭ লাখ টাকা!
ইতালির গ্রামে বসবাস করলেই মিলবে ২৭ লাখ টাকা!

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন সেই চিকিৎসক বাসুদেব
আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন সেই চিকিৎসক বাসুদেব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘নির্বাচনে কোন দল এলো, না এলো তা দেখার দায়িত্ব সরকারের নয়’
‘নির্বাচনে কোন দল এলো, না এলো তা দেখার দায়িত্ব সরকারের নয়’

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান-আফগান বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ
পাকিস্তান-আফগান বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে টাইফয়েড টিকা দেওয়া শুরু আজ
সারাদেশে টাইফয়েড টিকা দেওয়া শুরু আজ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাটারদের দায়িত্বহীনতায় হেরেছে বাংলাদেশ: মিরাজ
ব্যাটারদের দায়িত্বহীনতায় হেরেছে বাংলাদেশ: মিরাজ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রবিবার থেকে লাগাতার আন্দোলনে যাচ্ছেন শিক্ষকরা
রবিবার থেকে লাগাতার আন্দোলনে যাচ্ছেন শিক্ষকরা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তাইওয়ানের সামরিক কর্মকর্তাদের তথ্য দিলে পুরষ্কার দেবে চীন
তাইওয়ানের সামরিক কর্মকর্তাদের তথ্য দিলে পুরষ্কার দেবে চীন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জনপ্রশাসনের নতুন সিনিয়র সচিব এহছানুল হক
জনপ্রশাসনের নতুন সিনিয়র সচিব এহছানুল হক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফগানিস্তানের ১৯ সীমান্ত পোস্ট দখলের দাবি পাকিস্তানের
আফগানিস্তানের ১৯ সীমান্ত পোস্ট দখলের দাবি পাকিস্তানের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসমাবেশ ২৯ নভেম্বর
ঢাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসমাবেশ ২৯ নভেম্বর

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা ইসরায়েলের, ৩০০ যানবাহন ধ্বংস
লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা ইসরায়েলের, ৩০০ যানবাহন ধ্বংস

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেফ এক্সিট নয়, আমরা চাই স্বাভাবিক এক্সিট : ধর্ম উপদেষ্টা
সেফ এক্সিট নয়, আমরা চাই স্বাভাবিক এক্সিট : ধর্ম উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা সফর করলেন মার্কিন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার
গাজা সফর করলেন মার্কিন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মিসরে গিয়ে কাতারের তিন কূটনীতিক নিহত
গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মিসরে গিয়ে কাতারের তিন কূটনীতিক নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নামিবিয়ার ইতিহাস গড়া জয়
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নামিবিয়ার ইতিহাস গড়া জয়

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশকে নাচিয়ে মুরালি-আফ্রিদির পরেই রশিদ খান
বাংলাদেশকে নাচিয়ে মুরালি-আফ্রিদির পরেই রশিদ খান

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পিআর পদ্ধতি সাধারণ জনগণের উপকারে আসবে না : মঈন খান
পিআর পদ্ধতি সাধারণ জনগণের উপকারে আসবে না : মঈন খান

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক নৌবাহিনী প্রধান সরওয়ার জাহান নিজামের সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন
সাবেক নৌবাহিনী প্রধান সরওয়ার জাহান নিজামের সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোহিতকে টপকে সৌরভ-ধোনিকে ছুঁয়ে ফেললেন শুভমান
রোহিতকে টপকে সৌরভ-ধোনিকে ছুঁয়ে ফেললেন শুভমান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মরণযাত্রায় অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের শীর্ষে বাংলাদেশ
মরণযাত্রায় অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের শীর্ষে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
হেফাজতে ১৫ সেনা কর্মকর্তা
হেফাজতে ১৫ সেনা কর্মকর্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশ্যে ‘সাদা সোনা’ লুট
প্রকাশ্যে ‘সাদা সোনা’ লুট

খবর

ড. ইউনূসই শেষ ভরসা
ড. ইউনূসই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

মরণযাত্রায় শীর্ষে বাংলাদেশ
মরণযাত্রায় শীর্ষে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্বিতীয় পর্বে কেমন খেলবেন জামালরা
দ্বিতীয় পর্বে কেমন খেলবেন জামালরা

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জোনায়েদ সাকিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
জোনায়েদ সাকিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

নগর জীবন

সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ করার নতুন এজেন্ডা রুখতেই হবে
সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ করার নতুন এজেন্ডা রুখতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি এনসিপি জামায়াত প্রার্থীর জমজমাট প্রচার
বিএনপি এনসিপি জামায়াত প্রার্থীর জমজমাট প্রচার

নগর জীবন

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মায় চলছে ইলিশ নিধন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মায় চলছে ইলিশ নিধন

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি দলকে ক্ষমতায় নিতে ষড়যন্ত্র
একটি দলকে ক্ষমতায় নিতে ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির ৯ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াতের একক প্রার্থী মাঠে
বিএনপির ৯ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াতের একক প্রার্থী মাঠে

নগর জীবন

কন্যাশিশুর স্বপ্নের পাশে রাষ্ট্র থাকবে
কন্যাশিশুর স্বপ্নের পাশে রাষ্ট্র থাকবে

প্রথম পৃষ্ঠা

একই ওড়নায় ঝুলছিল দম্পতির লাশ
একই ওড়নায় ঝুলছিল দম্পতির লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

হঠাৎ যমুনার ভয়াবহ ভাঙন
হঠাৎ যমুনার ভয়াবহ ভাঙন

খবর

তিন কার্ডে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবে বিএনপি
তিন কার্ডে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবে বিএনপি

নগর জীবন

খুলনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ঢাকায় আনার পথে মৃত্যু
খুলনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ঢাকায় আনার পথে মৃত্যু

খবর

ভোট ওএমআর পদ্ধতিতে, থাকবে সর্বোচ্চ ন্যায্যতা
ভোট ওএমআর পদ্ধতিতে, থাকবে সর্বোচ্চ ন্যায্যতা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে হবে
ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে হবে

নগর জীবন

উচ্চমাধ্যমিকে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি
উচ্চমাধ্যমিকে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি

খবর

গুমের ডকুমেন্টরি শুটিংয়ে সিলেটে সালাহউদ্দিন
গুমের ডকুমেন্টরি শুটিংয়ে সিলেটে সালাহউদ্দিন

নগর জীবন

নতুন ইস্যু তৈরি করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে
নতুন ইস্যু তৈরি করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে

নগর জীবন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড চেয়ারম্যানের
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড চেয়ারম্যানের

নগর জীবন

নারীর সর্বোচ্চ ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবেন তারেক রহমান
নারীর সর্বোচ্চ ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবেন তারেক রহমান

নগর জীবন

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিতে ষড়যন্ত্র চলছে : মাসুম
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিতে ষড়যন্ত্র চলছে : মাসুম

খবর

সংগীত ও নাটক পরিবেশন
সংগীত ও নাটক পরিবেশন

নগর জীবন

আশুলিয়ায় সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ৫
আশুলিয়ায় সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ৫

খবর

যেনতেনভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে দায়মুক্তি সম্ভব নয়
যেনতেনভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে দায়মুক্তি সম্ভব নয়

খবর

ছায়ানট ও সেন্ট যোসেফের শরৎ প্রাতে অরুণ আলো
ছায়ানট ও সেন্ট যোসেফের শরৎ প্রাতে অরুণ আলো

খবর

তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি

সম্পাদকীয়