আট দফা দাবিসহ ত্রিশ কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবি শাখার পাঁচজন সমন্বয়ক সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক মোকারম হোসেন লিখিত বক্তব্য দাবিগুলো তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো কোটা আন্দোলনে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহার, কারফিউ তুলে নেওয়া, ইন্টারনেট সচল করা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া, ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরিয়ে নেওয়া, ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক ব্যবস্থা, শহিদ এবং ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পরিবারে ক্ষতিপূরণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়া ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের ব্যবস্থা করা।
লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ধীরে ধীরে সরকার আমাদের দাবিগুলো মেনে নিচ্ছে। অহিংস আন্দোলনকে তৃতীয় কোনো গোষ্ঠী সহিংস আন্দোলনে রূপ দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ত্রিশ কর্ম দিবসের মধ্যে আমাদের সরকার ও প্রশাসনের কাছে যে আট দফা দাবি রয়েছে, সেটা না মেনে নিলে আমরা আবার আন্দোলনে নামব।
পাঁচজন সমন্বয়ক কারো ভয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন কিনা? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সমন্বয়ক সুজন কুমার ভৌমিক বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট কোনো সমন্বয়ক কমিটি ছিল না। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেমেছি। সরকার আমাদের এক দফা দাবি পূরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আশা করছি বাকি দাবিগুলোও পূরণ করবে। আমরা দেখেছি এই কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনেকের রক্ত ঝরেছে, আর কোনো মায়ের বুক যাতে খালি না হয় তাই আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ত্রিশ কার্য দিবসের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সমন্বয়করা হলেন রেজোয়ান গাজী মহারাজ, তোফায়েল আহমেদ তপু, সুজন কুমার ভৌমিক, মনিমুল হক ও মোকারম হোসেন।