টাইমিংয়ে উন্নতি করলেও বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বাংলাদেশের দুই সাঁতারু বিদায় নিয়েছেন। গতকাল হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট অনুষ্ঠিত পুরুষদের ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে সামিউল ইসলাম রাফি ৩৫.০৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাঁতার শেষ করেন। ক্যারিয়ারে এটিই তাঁর সেরা টাইমিং। গত মাসে জাতীয় সাঁতারে নৌবাহিনীর এ সাঁতারু ৫০ মিটারে ২৫.৭৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জেতেন। সব হিট মিলিয়ে বিশ্বকাপে ৫১ জনের মধ্যে ৪৮তম স্থান দখল করেন। অন্যদিকে মেয়েদের বিভাগে ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ৫৬ জনের মধ্যে ৫০তম স্থান দখল করেন যূথী আক্তার। সময় নিয়েছিলেন ৩১.৯৪ সেকেন্ড। যা তাঁর জাতীয় প্রতিযোগিতায় নতুন রেকর্ডের চেয়ে ০.৮০ সেকেন্ড কম। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১ নম্বর হিটে আটজনের মধ্যে তৃতীয় হয়েও বাদ পড়েন তিনি। দুজনই দেশের পথে রওনা দিয়েছেন।
ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে হিট টপকে সেমিফাইনাল খেলার প্রত্যাশা থাকে না বাংলাদেশের সাঁতারুদের। এবারও তাই হলো। লক্ষ্য একটাই থাকে টাইমিং উন্নয়ন। প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে আর কত দিন? বিশ্বকাপ, অলিম্পিক বা এশিয়ান গেমসে ভালো করতে সাঁতারুদের কি উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় না? ফেডারেশনের কাজ কী। প্রতি বছর জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ কি তাদের মূল দায়িত্ব। সাঁতারে তো সম্ভাবনা ছিল। এখন এত বেহাল অবস্থা কেন? এসএ গেমসেও জ্বলে উঠতে পারছে না। যদি না পারে বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা হোক। অযথা দেশকে লজ্জা ফেলার তো কোনো মানে থাকতে পারে না।