নোয়াখালীতে গত দুই দিনে বন্যা দুর্গত এলাকায় সাপের কামড়ে আহত হয়ে ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সাথে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম। তবে তিনি তাদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় জানাতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত আট দিনের টানা বৃষ্টি ও বন্যায় ফেনীর মুহুরী নদীর জোয়ারের আতিরিক্ত পানি নোয়াখালী ঢুকে বন্যা ও জলাবন্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীসহ ৮টি উপজেলার অনেক জায়গায় হাঁটু ও কোমর পরিমাণ পানি উঠে যায়। এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেন। এতে মানুষের স্বাভবিক জীবনযাত্রা ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত দুই দিনে কবিরহাট ও সুবর্ণচরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সর্প দংশনে আহত হয়ে ৩৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম আরও বলেন, গত শুক্রবার ৯ জনকে এবং এর এক দিন আগে বৃহস্পতিবার ২৬ জনকে বন্যা কবলিত এলাকায় মাঠে ঘাটে কিংবা বাসাবাড়িতে কাজকর্ম করার সময় সাপ তাদের দংশন করে। একই সাথে ডায়রিয়ার সংখ্যা ও বাড়ছে। অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে এসব সাপ গর্ত থেকে বাহিরে আসছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
জেলা সির্ভিল সার্জন ডা. ইফতেখার মাসুম সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ডায়রিয়া সংখ্যা বাড়ছে তবে এই মুহূর্তে সঠিক সংখ্যা নেই। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যাইলন ও ওষুধ মজুদ রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ