প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। প্রকৃতির এমন আচরণে শীতে জবুথবু সবাই। এ অবস্থায় উষ্ণতার পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যের মাটির ঘর। এ ঘরের বৈশিষ্ট্য শীতকালে উষ্ণতা এবং গরমকালে শীতল পরশ। আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের মাটির ঘর এখন বিলুপ্তির পথে। তবে কেউ কেউ এখনো ধরে রেখেছেন বাপদাদার ঐতিহ্য মাটির ঘর। আগে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি গ্রামে এ ঘর দেখা গেলেও এখন আর আগের মতো নেই। হাতেগোনা দু-চার জন বাপদাদার এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। ঝড়বৃষ্টির পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের সময় ঠান্ডা আর শীতকালে গরম অনুভূত এ মাটির ঘর বলা চলে হারিয়ে যেতে বসেছে। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শাল্টি এলাকার মাটির ঘরে বসবাসকারী সামসুজ্জামান, আনারুল ইসলাম, লাল মিয়াসহ অনেকেই মাটির ঘর প্রসঙ্গে জানালেন, বাপদাদারা মাটির ঘরে জীবন পার করেছেন। তাঁদের স্মৃতি ধরে রাখতেই তাঁরা এখনো মাটির ঘরে বাস করেন। তাঁরা জানান, আগে ৬ হাত প্রস্থ, ৮ হাত দৈর্ঘ্য একটি ঘর বানাতে খরচ হতো ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। অনেক ক্ষেত্রে কোনো মিস্ত্রি ছাড়াই পরিবারের সদস্যরা মিলে এ ঘর তৈরি করা যেত। বর্তমানে ওই ঘর তৈরিতে লাগে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তাই অনেকেই এখন মাটির ঘর তৈরিতে আগ্রহ দেখায় না। তাঁরা জানান, এ ঘর তৈরিতে এঁটেল, দোআঁশ (লাল) মাটির প্রয়োজন। যে মাটি দিয়ে ঘর তৈরি করা হয় সে মাটি কোদাল দিয়ে ভালো করে কুপিয়ে ঝুরঝুর করে নেওয়া হয়। সঙ্গে পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে থকথকে কাদা করে নেওয়া হয়। মাটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে কাদায় পরিণত করে সে কাদা ২০-৩০ ইঞ্চি চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হয়। এরপর সে মাটি দিয়ে তৈরি করা হতো মাটির ঘর। সব মিলিয়ে একটি মাটির ঘর তৈরিতে তিন থেকে চার মাস লাগে। কেউ কেউ আবার ঘরটি দ্বিতল করে। নিচে বসবাস, দ্বিতলে ফসল ও অন্যান্য মালামাল রাখে। মাটির ঘর শীত-গরম সব সময়ই আরামদায়ক। বন্যা, ভূমিকম্প বা প্রবল ঝড় না হলে এসব ঘর ১০০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। তবে মাঝেমধ্যে সংস্কারের প্রয়োজন হয়। বদরগঞ্জের শ্যামপুরের শিক্ষক সামসুজ্জামান, মিঠাপুকুরের হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন জানালেন, কখনো কখনো অতিবৃষ্টির ফলে মাটির ঘরের কিছু অংশ ধসে পড়ে। তার পরও বাপদাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর পুনরায় মেরামত করে বসবাস করতে হয়।
শিরোনাম
- মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র্যাব
- ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র্যাব
- নদীর এই বাঁধ দিয়ে বন্যা ঠেকানো সম্ভব নয় : দুর্যোগ উপদেষ্টা
- বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে
- সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী
- মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের
- পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল
- গাজাকে শিশুদের কবরস্থান বানাচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
- ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় লেবাননে হতাহত ৬
- গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে দুই মাসে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি
- হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ জুলাই)
- জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
- রেকর্ড বইয়ের পাতায় ইংল্যান্ডের স্মিথ
- বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
- রাজধানীর মিরপুর থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার
- ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু অপরের মতকে সম্মান করতে হবে : আমীর খসরু
- ভারতের হয়ে যে রেকর্ড এখন শুধুই বুমরাহর
- বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার
প্রকাশ:
০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
আপডেট:
০০:২২, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
শীতেও উষ্ণতা ছড়ায় মাটির ঘর
নজরুল মৃধা, রংপুর
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর