সিলেট অঞ্চলে তেমন একটা বৃষ্টি নেই। কিন্তু তবু ফুঁসফুঁস করছে সুরমা কুশিয়ারা। এ অঞ্চলের প্রধান দুই নদীর পানি এখন বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। যেভাবে পানি বাড়ছে, এতে যখন তখন তা নদীগুলো দুকূল ছাপিয়ে যেতে পারে। উজানে ভারতের আসাম এবং তারও উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে এ অবস্থা।
শুক্রবার সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ছিল ১১ দশমিক ৬৮ মিটার, যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ০৭ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কিন্তু শুক্রবার সকাল পানি বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৮০ মিটার যা বিপৎসীমার মাত্র শূন্য দশমিক ৯৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেল তিনটায় এ পয়েন্টে পানি সামন্য কমেছে।
সুরমায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট পয়েন্টে পানি ছিল ৮ দশমিক ৮৮ মিটার যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৯২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
শুক্রবার সকার ৬টায় পানি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ শমিক ৯১ মিটার যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৮৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অবশ্য বিকেল তিনটা পর্যন্ত স্থিতিশীল ছিল।
আমলশিদে কুশিয়ারার পানি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১৪ দশমিক ৯৫ মিটার যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
শুক্রবার সকাল ৬টায় পানি বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১৪ মিটার যা বিপৎসীমার শূন্য ২৬ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর বিকেল তিনটায় পানি বেড়েছে আরও এক সেন্টিমিটার। মানে এ পয়েন্টে পানি বিৎসীমার মাত্র শূন্য দশমিক ২৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
শেওলায় কুশিয়ারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি ছিল ১২ দশমিক ১৪ মিটার যা বিপৎসীমার মাত্র শূন্য দশমিক ৯১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
শুক্রবার সকাল ৬টায় পানি বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দশকি ৩২ মিটার যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেল তিনটায় এ পয়েন্টে পানি আরো ১ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারায় পানি ছিল ৯ দশমিক ৩১ মিটার যা বিপৎসীমার মাত্র ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুক্রবার সকাল ৬টায় পানি বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩৭ মিটার যা বিপৎসীমার মাত্র ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেল ৩টায় এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি ছিল ৭ দশমিক ৭৯ মিটার যা বিপৎসীমার মাত্র ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পানি ছিল স্থিতিশীল। বিকেল তিনটায় অবশ্য পানি সামান্য কমেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন