সিলেটে ছয় দফা দাবিতে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।
এর আগে সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেটের একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে সিলেট থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও কোনো বাস প্রবেশ করেনি। তবে নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সব ধরনের যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড় ও মদিনা মার্কেট এলাকায় স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদের সংবাদ সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করে তারা সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়। এসময় বক্তারা বলেন, ‘সিলেটের গণপরিবহন-পণ্যপরিবহন ও পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিকরা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই বিভিন্নভাবে বঞ্চিত অবহেলিত। ২০১৮ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় সিলেটের সব পাথর কোয়ারী। বর্তমানে লাখ লাখ কর্মহীন মানুষের কারণে সিলেটে দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে এ অঞ্চলে। অন্যদিকে রিজার্ভের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি করা হচ্ছে। তারা পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে বার বার আন্দোলন সংগ্রাম করে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পরেও তারা জুলুম নির্যাতন ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পাননি।’ এসব কারণে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান, সিএনজি, ইমা-লেগুনা ও পাথর সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলেট জেলাজুড়ে পরিবহণ কর্মবিরতি (ধর্মঘট) আহ্বান করেছেন।
আবার অন্যদিকে, সিলেট বিআরটিএ অফিসের সামনে ধর্মঘটের সাথে সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে একটি সভা করে সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা, অটোটেম্পু, টেক্সি, টেক্সিকার মালিক সমিতি (রেজি নং চট্ট- ২৭৮৫)। সভায় নেতৃবৃন্দরা বলেন, ‘সিলেট জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের সাথে সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা, অটোটেম্পু, টেক্সি, টেক্সিকার মালিক সমিতির কোন সম্পৃক্ততা নেই। ধর্মঘটের বিষয়ে আমরা অবগত নই। বক্তারা সিলেট জেলায় যাত্রীদের সেবা দিতে সিলেট জেলায় সিএনজি অটোরিকশা, অটোটেম্পু, টেক্সি, টেক্সিকার চালানোর জন্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের প্রতি আহ্বান জানান।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন