মোংলায় বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের। গত দেড় সপ্তাহ ধরে চলা টানা বৃষ্টিতে ঘের ডুবে মাছ বের হয়ে গেছে। এতে স্থানীয় চিংড়ি চাষীদের ক্ষতি হয়েছে অর্ধ কোটি টাকার। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার চিলা ও চাঁদপাই ইউনিয়নের চিংড়ি চাষীদের। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সুন্দরবন, মিঠাখালী, সোনাইলতলা ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের চিংড়ি ঘের মালিকেরা। টানা বৃষ্টিতে উপজেলার সাড়ে ৩শ হেক্টর জমির ঘের তলিয়ে মাছ বেরিয়ে গেছে। বেশির ভাগ ঘেরের বেড়ী তলিয়ে গেছে। তাই নেট জাল দিয়ে মাছ আটকে রাখার চেষ্টা করছেন চাষীরা।
চিলা এলাকার ঘের মালিক বিজন বৌদ্ধ বলেন, বৃষ্টি ঘেরের বেড়ী তলিয়ে গেছে। মাছও বের হয়ে গেছে। এখন নেট জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছি, যাতে মাছ আর বেরিয়ে না যায়।
চাঁদপাই এলাকার চিংড়ি চাষী আঃ রহমান বলেন, মৌসুমের শুরুতেই ভাইরাসে মাছ মরেছে। এরপর এখন বৃষ্টিপাতে ঘের তলিয়ে গেছে। মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছি।
সুন্দরবন ইউনিয়নের বাসিন্দা ইকরাম ইজারদার বলেন, সারা বছর ধরেই আমরা বিপদে থাকি। এই ভাইরাস, এই বৃষ্টিপাত, এই ঝড়-জ্বলোচ্ছাস। একের পর এক নানা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছি। কিছুই করার নেই, কারণ ঘের ছাড়াও তো আমাদের উপায় নেই।
উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে এখানাকার সাড়ে ৩শ হেক্টর জমির সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। এতে চিংড়ি চাষীদের অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে কোন অনুদান আসলে অবশ্যই তা চাষীদের মাঝে বন্টন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ