ঝিনাইদহের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবার জন্য নির্ভর করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের ওপর। জেলার ২০ লাখ মানুষের ভরসাস্থল সরকারি এই হাসপাতাল। এখানে সেবা নিতে আসা বেশির ভাগ মানুষই অসচেতন। কোথায় কী ফেললে নোংরা হতে পারে এ ধারণাই নেই অনেকের। তাইতো জেলা সদর হাসপাতালে ঢুকতেই নোংরা পরিবেশ চোখে পড়ে। যেখানে-সেখানে পানের পিক, কফ, পানির বোতল, ডাবের খোসা এগুলো চোখে পড়ে হরহামেশাই। স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর এই পরিবেশ কারো কাম্য নয়। হাসপাতালে আসা রোগীদের সচেতন করতে এবং যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঝিনাইদহ জেলা শাখার বন্ধুরা। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের সচেতন করেছেন তারা। এছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গার ময়লা অর্বজনা পরিষ্কার করেন শুভসংঘের বন্ধুরা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলা সদর হাসপাতাল চত্ত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
শুভসংঘের বন্ধুরা জানান, চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে এসে যদি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীদের থাকতে হয়, তাহলে হাসপাতাল মানুষের ভরসার জায়গা না হয়ে, ঝুঁকি হয়ে ওঠে। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য দায়ী আমরাই। বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার বংশ বিস্তার বেশি হয়ে থাকে। এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত জরুরী। সেজন্য আজকে আমরা এই কর্মসূচি পালন করছি।
কর্মসূচিতে মনোবিজ্ঞানী সাব্বির আহমেদ জুয়েল, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শেখ রুহুল আমিন, কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক অরিত্র কুণ্ডু, সমাজকর্মী তারেক মাহমুদ জয়, রেল আব্দুল্লাহসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।