কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মালচিং পদ্ধতির টম্যাটো চাষ। বেশ কয়েকজন কৃষক এ পদ্ধতিতে টম্যাটোর আবাদ করেছেন। অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন আরও অনেকেই। কৃষি বিভাগ এক্ষেত্রে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছে।
বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের নগরভান্ডা গ্রামের মোবারক মিয়া অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি কৃষিকাজও করেন। আগে সাধারণ পদ্ধতিতে টম্যাটোর আবাদ করেছিলেন। বিভিন্ন রোগবালাইয়ের কারণে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবার দুই বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের টম্যাটো চাষ করেছেন তিনি। ফলন হয়েছে আশাতীত। চাষাবাদসহ পরিচর্যায় খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়ায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার টম্যাটো বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি। মোবারকের মালচিং পদ্ধতিতে টম্যাটো চাষ দেখতে এসে নিজেও উদ্বুদ্ধ হয়েছেন স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাদেক আলী। মোবারকের জমিতে টম্যাটোর ফলন দেখে তিনিও খুশি। নিজের জমিতেও মালচিং পদ্ধতিতে টম্যাটো চাষ করবেন বলে জানান তিনি। বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, জমিকে উত্তমরূপে তৈরি করে প্রয়োজনীয় জৈব ও রাসায়নিক সার মিশিয়ে বেড তৈরি করে বীজ বপন করতে হয়। তারপর বেডগুলো মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। মালচিং পদ্ধতিতে টম্যাটো চাষের ফলে ফলন ভালো হয় এবং কৃষকেরা বাজারমূল্যও ভালো পাচ্ছেন। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে খরচ কম, লাভও বেশি বলে জানান এই কর্মকর্তা। বাজিতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, বাজিতপুর উপজেলায় এবার ১২০ হেক্টর জমিতে টম্যাটোর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪০ হেক্টর জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে টম্যাটোর চাষ হয়েছে।