গত দেড় মাসে বগুড়ায় ১২ খুনের ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব শত্রুতা, আধিপত্য বিস্তার, ভূমি দখল, হিংসা-বিদ্বেষ, মাদকের টাকা জোগাড়, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন কারণে বেড়েই চলছে খুনের ঘটনা। এতে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, এক সময় বগুড়া সদর থানায় অপরাধীদের তালিকা ঝুলিয়ে মাঝে মধ্যেই অভিযান চালিয়ে যেতো পুলিশ। কিন্তু আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বের হয়ে এসে আবারো অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যেতো অপরাধীরা। এই ধারাবাহিকতা এখনো রয়েছে বগুড়ায়। ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর অনেকেই ভেবেছিলেন, খুন হানা হানী কমে যাবে। কিন্ত বগুড়ার ক্ষেত্রে সেটা হয়ে উঠেনি। সরকার পতনের পর থেকে বগুড়ায় একের পর এক খুনের ঘটনা বেড়েই চলছে। এছাড়াও বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে চুরি ছিনতাই। মাদক কারবারিদের দৌরাত্বের কারণে জেলা শহরে প্রায়ই ঘটছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। দিনদুপুরে ঘটছে খুনের ঘটনা।
গত দেড় মাসে বগুড়ায় ১২টি খুনের ঘটনা শহরবাসিকে আরো ভাবিয়ে তুলেছে। শহরবাসিরা এসব উৎখাত ও অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ছেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের শাবরুল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাগর বাহিনীর প্রধান সাগর তালুকদার ও তার সহযোগী স্বপন হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত সাগর তালুকদার শাবরুল হাটখোলাপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে এবং নিহত স্বপন হোসেন একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। নিহত সাগর হোসেনের নামে ২টি হত্যা ও মাদকসহ ১৮টি মামলা রয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আব্দুর রশিদ জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কাজ করছে। তদন্তের বিষয়টি চলমান রয়েছে। একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কাজ শুরু করেছেন। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন