দুই দিনে নতুন করে টানা ভারি বৃষ্টির ফলে নোয়াখালীতে ফের বাড়ছে জলাবদ্ধতা। সেই সাথে বাড়ছে জনদুভোর্গ। টানা দেড় মাসের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতে আবারো জলাবদ্ধতায় সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে খাল ও ড্রেন পরিষ্কার করে এবং অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান ভুক্তভোগী মাইজদী শহরবাসী ও বিভিন্ন এলাকার স্থানীয়রা।
এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো ভেঙে পড়ায় সামান্য বৃষ্টিতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সড়ক, হাসপাতাল সড়ক, আল ফারুক স্কুল সড়ক, কাজী কলোনী সড়ক, মহিলা কলেজ সড়ক, জজকোর্ট সড়ক ও ফ্ল্যাট রোডসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক দিয়ে যাতায়াতে বাড়ছে হর হামেশাই দুর্ঘটনা। রবিবার বিকেলে সরেজমিনে আল ফারুক সড়ক, ফ্ল্যাট সড়ক ও হাসপাতাল সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীসহ বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি স্থানীয় জলাবদ্ধতায় রুপ নেয়। সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পরিমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
জেলা শহর মাইজদীসহ আশপাশের অঞ্চলের পানি নিমজ্জিত হওয়ায় সড়ক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় জলাবদ্ধতার পানি নামছে খুবই ধীর গতিতে। এজন্য স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
নোয়াখালীর নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীতে বন্যা পরবর্তী জলাবদ্ধতা আগে থেকেই ছিল। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। অবৈধভাবে দখলে থাকা খাল উদ্ধারের কাজ চলছে এবং তালিকা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল