নেত্রকোনার কলমাকান্দার গ্রামীণ সড়কে সীমান্ত থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহি বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই ছোঁয়ামণি (৮) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা বাসটিকে আটকে দেয়। কিন্তু বাস থামিয়েই দ্রুত বাসচালক ও তার সহযোগী পালিয়ে যান। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন রংছাতির ধারাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছোঁয়ামণি ময়মনসিংহ শহরের বাঘেরকান্দা এলাকার সাখাওয়াত উল্লাহ ও সুমি আক্তার দম্পতির মেয়ে। সে বাঘেরকান্দা মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। দাদির সাথে ফুফুর বাড়ি বেড়াতে এসে এমন দুর্ঘটনার শিকার হয় শিশুটি।
স্থানীয় ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছোঁয়ামণির ফুফু নাদিরা আক্তারের বিয়ে হয় কলমাকান্দার ধলাপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের সঙ্গে। গত শনিবার শিশুটি তার দাদি রেহেনা বেগমের সাথে ধারাপাড়া গ্রামে ফুফুর বাড়ি বেড়াতে আসে।
সোমবার সকালে বাড়ির সামনের সড়কের পাশে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল। এসময় পাঁচগাও সীমান্তবর্তী মহেষখলা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী একটি বাস যাওয়ার পথে ছোঁয়ামণিকে চাপা দেয়। এ সময় সঙ্গে থাকা আরও দুই শিশু আহত হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছোঁয়ামণিকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। চালককে আটকের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম