শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮ আপডেট:

উন্নয়ন : স্থায়িত্বের দায়িত্ব

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
উন্নয়ন : স্থায়িত্বের দায়িত্ব

আমরা জানি এমডিজি অর্থাৎ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। যার মেয়াদকাল ছিল ২০০০-২০১৫ সাল পর্যন্ত। এর পরই এসডিজি অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে ব্যাপক চেষ্টা চলছে। যার মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০১৬-২০৩০। গত ১৪ অক্টোবর এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘যুব সম্মেলন-২০১৮’তে উপস্থিত তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশে প্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদানের জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সম্মেলনে গিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য যেসব কর্মসূচির কথা শুনলাম তা প্রশংসনীয়। তবে আমাদের দেশে এই টেকসই শব্দটির প্রতি কখনই খুব একটা সুবিচার করা হয় না। অনেক কিছুতেই একটা নড়বড়ে ভাব লক্ষ্য করা যায়। সততার অভাবে, দুর্নীতির প্রভাবে অনেক কিছুই স্থায়ী বা টেকসই হয় না।

কথায় আছে, ‘কথায় চিঁড়ে ভেজে না’। চিঁড়ে না ভিজলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ভেজে। কারণ যারা ভালো মানুষ সেজে, মানুষ ভেজে খান, তাদের কথার তেজে লেজে-গোবরে অবস্থা হয় অনেকেরই। মধ্যরাতে টেলিভিশন খুললেই এর কিছুটা প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় চ্যানেলে চ্যানেলে যেন কথার খই ফোটে। অনুষ্ঠানের নাম ‘টকশো’। রাতের এসব টকশো দেখলেই মনে হয় দেশে বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এদের অনেকেই যেন সবজান্তা- অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সংস্কৃতি, প্রবাসনীতি, ব্যবসাপাতি কোনো কিছুই এদের অজানা নয়। আর রাজনীতি তো আছেই। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেউ চিৎকার করছেন, কেউ হুঙ্কার দিচ্ছেন, কেউ আঙ্গুল তুলে শাসাচ্ছেন আর কেউবা দর্শক হাসাচ্ছেন। কেউ কেউ বার বার একই রেকর্ড বাজাচ্ছেন। কেউ আবার মাতামাতির সঙ্গে হাতাহাতিও করছেন। এদের কথা টেকসই উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখছে জানি না, তবে এগুলো টেকসইভাবে ইউটিউবে শোভা পাচ্ছে- যা এ-জাতীয় বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মকে খারাপ ধারণা দিচ্ছে।

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী যারা দৈহিক শ্রমের বদলে মানসিক শ্রম বা বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রম দেন, তারাই বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবীর সরল সংজ্ঞা হলো, ‘যে ব্যক্তি নিজের বুদ্ধি দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করেন তাকে বুদ্ধিজীবী বলে।’ বুদ্ধিজীবীদেরও শ্রেণিভেদ আছে- সুবুদ্ধিজীবী ও কুবুদ্ধিজীবী। এর মধ্যে কিছু আছে সুবিধাজীবী। এরা যখন যার তখন তার। এদের কাছ থেকে সুলভে বুদ্ধি ও বাণী কেনা যায়, শুভেচ্ছাবাণীসহ অন্যের লিখে দেওয়া বাণীতে দস্তখতও পাওয়া যায়। আর বিবৃতি তো আছেই। তাই কেউ কেউ এদের বিবৃতিজীবীও বলেন। কথা প্রসঙ্গে আমার এক পরিচিতজন একবার বলছিল, আমি কোনো বুদ্ধিজীবীর কাছ থেকে বুদ্ধি নিই না, বরং বুদ্ধিজীবীর বদলে আমি ১৬ জিবি, ৩২ জিবি, ৬৪ জিবির পেনড্রাইভে বুদ্ধি ভরে পকেটে রাখি। প্রয়োজনে ল্যাপটপে দেখে নিই। আটকে গেলে গুগল সাহেবের সাহায্য নিই। সব সমস্যার সমাধান পেয়ে যাই। সুতরাং তরুণদের কাজের জন্য এ ধরনের বুদ্ধিজীবী হওয়ার দরকার নেই- তবে বুদ্ধিমান হতে হবে, বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে।

এসব কথা থেকে এবার একটু আমার কথায় আসি। আমরাও বিশ্বাস করি- ‘কথা কম কাজ বেশি’। তাই আমি বছরে মাত্র ছয় ঘণ্টা দর্শকের সামনে কথা বলি। অনেক স্থানে কথা বলার অনুরোধ পাওয়া সত্ত্বেও দর্শকরা শুধু একটি অনুষ্ঠানেই আমাকে দেখতে পান, সেটি হচ্ছে ইত্যাদি।  তাও বছরে ছয়বার। যেহেতু আজকের প্রসঙ্গ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সেই হিসেবে ইত্যাদিকেও একটি টেকসই অনুষ্ঠান বলা যায়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ এমডিজি পেরিয়ে আমরাও জাতিসংঘ-ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোচ্ছি। কারণ ইত্যাদির বয়স হয়েছে ৩০ বছর। এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম মূলমন্ত্র হচ্ছে, Leaving no one behind (LNOB)  অর্থাৎ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে। ইত্যাদির মূলমন্ত্রও অনেকটা তাই।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা ইত্যাদিতে তুলে ধরেছি সারা দেশের অনেক সৎসাহসী, জনকল্যাণকামী, নিভৃতচারী আলোকিত মানুষদের। যাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। এরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রচারকল্যাণে যাদের অনেকেই পরবর্তীতে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। তরুণসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে আমরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে গেছি ইত্যাদির দর্শক পর্বকে। ইত্যাদিকে  স্টুডিওর চার দেয়াল থেকে বের করে নিয়ে এসেছি দেশের বিভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রত্নতত্ত্বসমৃদ্ধ গৌরবময় স্থানে; যা অনেককেই উদ্বুদ্ধ করেছে।

এই আত্মপ্রচারের মহোৎসবের যুগে অনেক প্রচারবিমুখ নীরব কর্মীকে আমরা খুঁজে বের করেছি। প্রচার নয়, পাঠকের সুবিধার জন্য ইত্যাদির তেমনই কজন টেকসই উন্নয়নকর্মীর উদাহরণ তুলে ধরতে চাই।

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে নওগাঁ জেলার সেই গহের আলীর কথা। যার জীবিকা ছিল ভিক্ষান্ন। চাল-ডালের সঙ্গে ভিক্ষা হিসেবে তালের আঁটি এনে রাস্তার ধারে লাগিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করতেন। এভাবে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি তালগাছ লাগিয়েছেন তিনি। তার লাগানো সেই গাছ টেকসই উন্নয়নের প্রতীক হয়ে আজ সবাইকে ছায়া দিচ্ছে এতেই তার তৃপ্তি। পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই গহের আলী ৮০ বছর বয়সে পেয়েছিলেন জাতীয় পরিবেশ পদক-২০০৯।

পলান সরকারের কথাই ধরুন, ২০০৬ সালে প্রচারিত ইত্যাদির একটি পর্বে আলোকিত মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয় বইপ্রেমী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামের ৮৬ বছরের বৃদ্ধ পলান সরকারকে। যিনি তার গ্রামে হেঁটে হেঁটে মানুষকে বই বিতরণ করেন। ২০১১ সালে তিনি লাভ করেন একুশে পদক। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি একটি লাইব্রেরি করেছেন, তার অনুপস্থিতিতে যদি আমরা সেই লাইব্রেরিটিকে টেকসই করতে পারি, তবে গ্রামের তরুণ-তরুণীরা সেখানে গিয়ে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে।

আমাদের গর্ব বাঙালিদের মধ্যে প্রথম পরপর দুবার পৃথিবীর সর্বোচ্চশৃঙ্গ এভারেস্টজয়ী এম এ মুহিত ও বাংলাদেশের প্রথম মহিলা এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার। এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর যাদের হাতে ইত্যাদি লেখা লোগোটিও ছিল। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তিনবার স্বীকৃতি পাওয়া কুষ্টিয়ার হালিম, হলিউডের ছবিতে গ্রাফিক্স করে অস্কার বিজয়ী বাংলাদেশের তরুণ রাশেদ, মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ প্রতিযোগিতায় ‘পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করা ‘টিম র‌্যাপচার’ দল। এদের ওপর নির্মিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছে।

বর্তমান সময়ে ফেসবুক একটি অতি ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কিন্তু অপব্যবহারের কারণে ক্ষেত্রবিশেষে এ ফেসবুক হয়ে উঠেছে অসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আমরা ফেসবুকের ভিন্নতর ব্যবহার দেখিয়েছি। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের তরুণ মামুন বিশ্বাস কীভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে অসহায় ও গরিব রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে, তা তুলে ধরেছি। যা দেখে অনেকেই ফেসবুকের ভিন্নতর ও সেবামূলক ব্যবহারে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। দেখিয়েছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া ৩০০ কৃষকসন্তান মিলে গড়ে তোলা গ্রিন সেভার্স নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কীভাবে নগরকৃষির প্রবর্তন করেছে। এই তরুণদের লক্ষ্য- যে ভূমিটুকু জুড়ে নির্মিত হয়েছে একেকটি বাড়ি সেই পরিমাণ স্থান বাড়ির ভিতরে ও ছাদে বাগান করে সবুজে সবুজে ভরে দেওয়া। তারা এখন পর্যন্ত ঢাকা শহরের প্রায় ৩ হাজার ছাদে বাগান করেছে। কে কেমন বাগান করল, কার ছাদের বাগানে কয়টি গাছ বা কয়টি ফল হলো এসব নয় বরং মানুষ ছাদে কীভাবে বাগান করবে এবং বাগান কীভাবে ফলে ভরবে সেটাই তারা হাতে-কলমে শেখায়।

চট্টগ্রামের আলমাস মিয়া। যিনি প্রমাণ করেছেন মানসিক শক্তি, কর্মস্পৃহা এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কাছে বয়স কোনো বাধা নয়। যে কারণে বার্ধক্য তার কাছে হার মেনেছে। তিনি একাই কোনো সহযোগী ছাড়া দীর্ঘ ১০ বছরে তৈরি করেছেন দ্বিতল বাড়ি। আজকের কর্মবিমুখ বহু তরুণ-যুবার কাছে তিনি হতে পারেন আদর্শ-আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার অনন্য উদাহরণ।

সাম্প্রতিককালে আমরা দেখিয়েছি, একদা মঙ্গাপীড়িত নীলফামারীর শ্রমজীবী মানুষদের নৈপুণ্যে উত্তরা ইপিজেডে কীভাবে তৈরি হচ্ছে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য। যা সারা বিশ্বে রপ্তানি হচ্ছে। এসব বিচিত্র পণ্য যেমন এলাকার দৈন্য দূর করেছে, তেমনি প্রশংসিত হয়েছে উন্নত বিশ্বে। আর মঙ্গাপীড়িত নীলফামারী পরিণত হয়েছে দীপ্তিমান নগরীতে।

ইত্যাদির ৩০ বছরে আমরা সমাজ সংস্কার ও প্রেরণামূলক এমনই শত শত টেকসই প্রতিবেদন দেখিয়েছি। অনেক যোগ্য মানুষ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, যারা প্রচার পায় না-প্রচার চায়ও না, পুরস্কারের পেছনেও ছোটে না। গহের আলী, পলান সরকাররা এমনিতেই দায়িত্বশীল, পুরস্কার পেয়ে তাদের দায়িত্ব বাড়ে না।

আসলে আমাদের দেশের টিভি চ্যানেল যত বাড়ছে, দেখার আগ্রহ তত না বাড়লেও দেখাবার আগ্রহ বাড়ছে নানা ভাষায় নানা ভঙ্গিতে। একজন দর্শককে যদি প্রশ্ন করা হয় টিভি দেখতে বসে তিনি মোট কতবার রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্রটি চেপেছেন তা হলে হয়তো তিনি ক্যালকুলেটরে হিসাব করেও বের করতে পারবেন না। শিক্ষা, তথ্য, বিনোদন এ তিনটিই হচ্ছে টেলিভিশনের মূলমন্ত্র। কিন্তু এ মূলমন্ত্র কটা টেলিভিশনে খুঁজে পাওয়া যায়? কারণ এখানেও টেকসই বিনোদন নেই। আমাদের পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, জারি-সারি, ভাটিয়ালি- এসব আমাদের অন্তরের গান, মাটির গান। নানান উদ্ভট কথার আইটেম সং আর ব্যয়বহুল চটুল মিউজিক ভিডিওর দৌরাত্ম্যে আমাদের এসব গান চাপা পড়ে যাচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। টেকসই। আমাদের এ সংস্কৃতি চিত্তে ধারণ করতে হবে। এখন হাজার হাজার নাটক হচ্ছে কিন্তু কেউ যখন উদাহরণ দেয়, তখন আশির দশক, নব্বই দশকের নাটকের কথা বলে। এখনকার নাটকের উদাহরণ কেউ দেয় না। সেই অর্থে বলা যায় তখনকার নাটক গল্প-গাঁথুনি ও বক্তব্যে ছিল গভীর মানসম্পন্ন ও শোভন, বলা যায় টেকসই। কিন্তু এখনকার বেশির ভাগ নাটক মানুষের মনে সেভাবে রেখাপাত করছে না। কিছু কিছু চ্যানেল যেন রিয়েলিটি শো নির্ভর। এসব রিয়েলিটি শোর সঙ্গে অর্থ যোগ থাকলেও আশানুরূপ টেকসই প্রতিভা পাওয়া যায় না।

আমাদের এখানে মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান প্রচারের চাইতে আত্মপ্রচারটাই বেশি হয়। যে কারণে পৃথিবীর বড় বড় চ্যানেলের মালিককে কেউ না চিনলেও আমাদের দেশের প্রতিটি চ্যানেলের মালিক এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের আত্মীয়-পরিজনকেও সবাই চেনে। দু-একটি চ্যানেলে সংবাদের এক তৃতীয়াংশ জুড়েই থাকে মালিকদের কর্মকা-ভিত্তিক সংবাদ। সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরা এমনকি আমাদের পাশের দেশের স্টার প্লাস, সনি- এসব চ্যানেলের মালিককে আমরা কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। রুপার্ট মারডকের কথাই ধরা যাক। তিনি একজন মিডিয়া ব্যবসায়ী। বিশ্বব্যাপী তার কয়েক শ পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেল রয়েছে, তার প্রকাশিত খবরে নড়ে ওঠে গোটা বিশ্ব। সে কারণে তাকে মিডিয়া সাম্রাজ্যের বাদশাহ বলা হয়। অথচ অনেকেই তাকে চেনেন না।

আমরা টেলিভিশন চ্যানেলের পর্দায় যাদের বেশি বেশি দেখি, যারা কাজের চাইতে বেশি কথা বলছেন, মনে করি এরাই বোধহয় দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ এদের চাইতে অনেক বেশি কাজ করেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের অচেনা মানুষগুলো। যারা প্রচারবিমুখ, যারা স্বীকৃতি বা মূল্যায়নের জন্য কাজ করেন না- সামগ্রিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করেন। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। যে ভূমিকায় প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠতা ও সততা।

কাগজের পাতা খুললেই আজকাল দেখা যায় কত দ্রুত অকালে জীবন ঝরে যাচ্ছে। রাস্তা অনিরাপদ হওয়ার প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। নিয়মিত অনিয়মই যেন এখানে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইন প্রয়োগ ও নিয়ম পালনের ক্ষেত্রেও টেকসই উন্নয়ন দরকার। আমরা গ্রামে বেড়া ডিঙিয়ে অন্যের খেতে অনধিকার প্রবেশের জন্য গরু-ছাগলকে খোঁয়াড়ে দিই কিন্তু শহরে তো গরু-ছাগল নেই, তার পরও মানুষের চলাচল বন্ধে তারকাঁটার বেড়া কিংবা পাইপ দিয়ে রাস্তার মাঝখানে আটকানো থাকে। কিন্তু কেউই যেন সেটাও মানতে চায় না। অনেক স্থানেই এসব কেটে রাস্তা পার হচ্ছে পথচারীরা অর্থাৎ অনধিকার চলা চলছেই। যদিও আইন অমান্য করার জন্য তাদের খোঁয়াড়ে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাটে চলার সময় প্রায়ই দেখা যায় অনেকেই হঠাৎ করে ট্রাফিক পুলিশের মতো মাঝরাস্তায় হাত উঁচিয়ে সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। কেউ ভাবছেন না এই যান্ত্রিক গাড়িটির যন্ত্র কথা না শুনলে কত বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সুতরাং শুধু চালক নয়, আমরা যারা পথচারী আমাদেরও যথেষ্ট সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আইনের প্রতি আমাদের আরও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নইলে আমাদের নিয়ম-শৃঙ্খলা কখনই টেকসই হবে না। কিছুদিন আগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে আইন মানতে হয় এবং মানাতে হয়।

আমরা দেশ বা সমাজের ভবিষ্যৎ দেখতে চাই তারুণ্যের আয়নায়। আজ আমাদের যুবসমাজের একটি বিশাল অংশের কেউ কেউ হতাশাগ্রস্ত, কেউ কেউ হতাশা বিলাসে মাদকাসক্ত হয়ে বিপথগামী, কেউ কেউ মোবাইল আড্ডায় হারাতে হারাতে হারিয়ে ফেলছে জীবনের পথ, কেউ কেউ আবার দিনভর-রাতভর টিভি-রেডিও আড্ডার উদ্ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। তরুণসমাজের একটি অংশের নানা অবক্ষয়ের চিত্র দেখে আমরা যখন হতাশ হয়ে যাই, তখনই মনে পড়ে এটাই সব নয়। ওপরে যা দেখা যাচ্ছে তা বন্যায় ভেসে আসা আবর্জনা। ওটা ভেসে চলে যাবে আর নিচে যা জমবে তা উর্বর পলি, সেটাই আসল।

আমাদের যত সমস্যাই থাক সম্ভাবনা অসীম। এ দেশের বড় সম্পদ তারুণ্যশক্তি। আমরা আমাদের তারুণ্যশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। একাত্তরে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৮০ ভাগের বেশি ছিল তরুণ, যাঁদের বয়স ছিল ৪০-এর নিচে। আমাদের তরুণ-তরুণীদের যোগ্যতার অভাব কীসে? এভারেস্ট জয় থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্বে অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের তরুণীরাও। শিক্ষায়, গবেষণায়, উদ্ভাবনে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মেধার স্বাক্ষর রাখছে আমাদের ছেলেমেয়েরা।

মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে সততা। সৎ না হলে যত বড় উন্নয়ন পরিকল্পনাই করা হোক না কেন, ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করলে তা নিশ্চয়ই টেকসই হবে না। উচিত সময়ে উচিত কথাটি বলতে হবে, উচিত কাজটি করতে হবে- সততার সঙ্গে, সাহসের সঙ্গে। লক্ষ্য রাখতে হবে, আমাদের কর্মক্ষেত্রের সর্বক্ষেত্রে আমরা যেন সতর্ক থেকে সৎ এবং সততা নিয়ে চলতে পারি। বলতে পারি সত্য কথা। আমাদের তরুণরা যদি নির্মোহ থেকে সমাজ সংস্কারে কাজ করে তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের বেগ পেতে হবে না।

মানবিক গুণাবলি ও নৈতিক মূল্যবোধে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হবে। আমরা বলি, পানির অপর নাম জীবন কিন্তু কী পানি? তা হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। নইলে তার অপর নাম হবে মরণ। তেমনি শিক্ষা হলেই চলবে না, প্রয়োজন সুশিক্ষা। বুদ্ধির ক্ষেত্রে প্রয়োজন সুবুদ্ধি। সুশিক্ষায়, সৎচিন্তায় ও অনুসরণে বুদ্ধি হবে সুবুদ্ধি। আবার কাজ করার ইচ্ছা থাকলেই চলবে না, থাকতে হবে সদিচ্ছা। কারণ সদিচ্ছা সৎ কাজ করতে উৎসাহিত করে। আর সৎ মানুষই পারে সততার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে; যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে এসডিজি বা টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্যে। যে উন্নয়নের স্থায়িত্বের দায়িত্ব আমাদের সবার।

► লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব

পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়ন কর্মী

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
ভিসা জটিলতা
ভিসা জটিলতা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
সর্বশেষ খবর
বশের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় জয়
বশের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় জয়

৪৪ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটুনি
ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটুনি

৫৬ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

‘‘ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ চিহ্নিত করা হবে’’
‘‘ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ চিহ্নিত করা হবে’’

১ মিনিট আগে | জাতীয়

আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৫১
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৫১

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক
এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক

১৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

‘নারীকে অধিকারহীন রেখে কোনভাবেই রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়’
‘নারীকে অধিকারহীন রেখে কোনভাবেই রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়’

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরিয়া কি ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে?
সিরিয়া কি ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে?

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত বুধবার : নৌ উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত বুধবার : নৌ উপদেষ্টা

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

৫৬ বন্দির সাজা মওকুফ করে মুক্তির আদেশ
৫৬ বন্দির সাজা মওকুফ করে মুক্তির আদেশ

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার
আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
চট্টগ্রামে আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত

২৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৯৯৫ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৯৯৫ মামলা

২৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাগুরায় আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার
মাগুরায় আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্কুলছাত্র-পর্যটক-রিসোর্টে মাদক সরবরাহকারী আটক
স্কুলছাত্র-পর্যটক-রিসোর্টে মাদক সরবরাহকারী আটক

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫০ হাজার ইয়াবাসহ কাঠের নৌকা জব্দ
৫০ হাজার ইয়াবাসহ কাঠের নৌকা জব্দ

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আখাউড়ায় ট্রেনের টিকিটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার
আখাউড়ায় ট্রেনের টিকিটসহ কালোবাজারি গ্রেপ্তার

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ
প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে ১৭ লাখের বেশি করদাতার রিটার্ন দাখিল
অনলাইনে ১৭ লাখের বেশি করদাতার রিটার্ন দাখিল

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আল হিলালের বিপক্ষে সুযোগ নষ্টে গার্দিওলার হতাশা
আল হিলালের বিপক্ষে সুযোগ নষ্টে গার্দিওলার হতাশা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন
জয়পুরহাটে ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু; সংবাদ প্রকাশের পর তদন্তে পিবিআই
ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু; সংবাদ প্রকাশের পর তদন্তে পিবিআই

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদের জমি উদ্ধার করল প্রশাসন
মসজিদের জমি উদ্ধার করল প্রশাসন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ১৩
করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ১৩

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

জামালপুরে প্রভাষকের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবি
জামালপুরে প্রভাষকের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে’
‘পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০০ কোটির ক্লাবে আমির খানের ‘সিতারে জমিন পার’
১০০ কোটির ক্লাবে আমির খানের ‘সিতারে জমিন পার’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি
প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ
বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব
সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা
মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা

৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর
যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি
ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন

১১ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের
যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ
ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকার সব ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের নির্দেশ
ঢাকার সব ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা কামনা
শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা কামনা

পেছনের পৃষ্ঠা

কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে

শিল্প বাণিজ্য

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ
সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ

প্রথম পৃষ্ঠা

আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন
আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

ফুল চাষে ভাগ্য বদল
ফুল চাষে ভাগ্য বদল

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা