শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮ আপডেট:

উন্নয়ন : স্থায়িত্বের দায়িত্ব

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
উন্নয়ন : স্থায়িত্বের দায়িত্ব

আমরা জানি এমডিজি অর্থাৎ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। যার মেয়াদকাল ছিল ২০০০-২০১৫ সাল পর্যন্ত। এর পরই এসডিজি অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে ব্যাপক চেষ্টা চলছে। যার মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০১৬-২০৩০। গত ১৪ অক্টোবর এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘যুব সম্মেলন-২০১৮’তে উপস্থিত তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশে প্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদানের জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সম্মেলনে গিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য যেসব কর্মসূচির কথা শুনলাম তা প্রশংসনীয়। তবে আমাদের দেশে এই টেকসই শব্দটির প্রতি কখনই খুব একটা সুবিচার করা হয় না। অনেক কিছুতেই একটা নড়বড়ে ভাব লক্ষ্য করা যায়। সততার অভাবে, দুর্নীতির প্রভাবে অনেক কিছুই স্থায়ী বা টেকসই হয় না।

কথায় আছে, ‘কথায় চিঁড়ে ভেজে না’। চিঁড়ে না ভিজলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ভেজে। কারণ যারা ভালো মানুষ সেজে, মানুষ ভেজে খান, তাদের কথার তেজে লেজে-গোবরে অবস্থা হয় অনেকেরই। মধ্যরাতে টেলিভিশন খুললেই এর কিছুটা প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় চ্যানেলে চ্যানেলে যেন কথার খই ফোটে। অনুষ্ঠানের নাম ‘টকশো’। রাতের এসব টকশো দেখলেই মনে হয় দেশে বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এদের অনেকেই যেন সবজান্তা- অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সংস্কৃতি, প্রবাসনীতি, ব্যবসাপাতি কোনো কিছুই এদের অজানা নয়। আর রাজনীতি তো আছেই। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কেউ চিৎকার করছেন, কেউ হুঙ্কার দিচ্ছেন, কেউ আঙ্গুল তুলে শাসাচ্ছেন আর কেউবা দর্শক হাসাচ্ছেন। কেউ কেউ বার বার একই রেকর্ড বাজাচ্ছেন। কেউ আবার মাতামাতির সঙ্গে হাতাহাতিও করছেন। এদের কথা টেকসই উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখছে জানি না, তবে এগুলো টেকসইভাবে ইউটিউবে শোভা পাচ্ছে- যা এ-জাতীয় বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মকে খারাপ ধারণা দিচ্ছে।

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী যারা দৈহিক শ্রমের বদলে মানসিক শ্রম বা বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রম দেন, তারাই বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবীর সরল সংজ্ঞা হলো, ‘যে ব্যক্তি নিজের বুদ্ধি দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করেন তাকে বুদ্ধিজীবী বলে।’ বুদ্ধিজীবীদেরও শ্রেণিভেদ আছে- সুবুদ্ধিজীবী ও কুবুদ্ধিজীবী। এর মধ্যে কিছু আছে সুবিধাজীবী। এরা যখন যার তখন তার। এদের কাছ থেকে সুলভে বুদ্ধি ও বাণী কেনা যায়, শুভেচ্ছাবাণীসহ অন্যের লিখে দেওয়া বাণীতে দস্তখতও পাওয়া যায়। আর বিবৃতি তো আছেই। তাই কেউ কেউ এদের বিবৃতিজীবীও বলেন। কথা প্রসঙ্গে আমার এক পরিচিতজন একবার বলছিল, আমি কোনো বুদ্ধিজীবীর কাছ থেকে বুদ্ধি নিই না, বরং বুদ্ধিজীবীর বদলে আমি ১৬ জিবি, ৩২ জিবি, ৬৪ জিবির পেনড্রাইভে বুদ্ধি ভরে পকেটে রাখি। প্রয়োজনে ল্যাপটপে দেখে নিই। আটকে গেলে গুগল সাহেবের সাহায্য নিই। সব সমস্যার সমাধান পেয়ে যাই। সুতরাং তরুণদের কাজের জন্য এ ধরনের বুদ্ধিজীবী হওয়ার দরকার নেই- তবে বুদ্ধিমান হতে হবে, বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে।

এসব কথা থেকে এবার একটু আমার কথায় আসি। আমরাও বিশ্বাস করি- ‘কথা কম কাজ বেশি’। তাই আমি বছরে মাত্র ছয় ঘণ্টা দর্শকের সামনে কথা বলি। অনেক স্থানে কথা বলার অনুরোধ পাওয়া সত্ত্বেও দর্শকরা শুধু একটি অনুষ্ঠানেই আমাকে দেখতে পান, সেটি হচ্ছে ইত্যাদি।  তাও বছরে ছয়বার। যেহেতু আজকের প্রসঙ্গ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সেই হিসেবে ইত্যাদিকেও একটি টেকসই অনুষ্ঠান বলা যায়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ এমডিজি পেরিয়ে আমরাও জাতিসংঘ-ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোচ্ছি। কারণ ইত্যাদির বয়স হয়েছে ৩০ বছর। এসডিজি বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি অন্যতম মূলমন্ত্র হচ্ছে, Leaving no one behind (LNOB)  অর্থাৎ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে। ইত্যাদির মূলমন্ত্রও অনেকটা তাই।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা ইত্যাদিতে তুলে ধরেছি সারা দেশের অনেক সৎসাহসী, জনকল্যাণকামী, নিভৃতচারী আলোকিত মানুষদের। যাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। এরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রচারকল্যাণে যাদের অনেকেই পরবর্তীতে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। তরুণসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে আমরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে গেছি ইত্যাদির দর্শক পর্বকে। ইত্যাদিকে  স্টুডিওর চার দেয়াল থেকে বের করে নিয়ে এসেছি দেশের বিভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রত্নতত্ত্বসমৃদ্ধ গৌরবময় স্থানে; যা অনেককেই উদ্বুদ্ধ করেছে।

এই আত্মপ্রচারের মহোৎসবের যুগে অনেক প্রচারবিমুখ নীরব কর্মীকে আমরা খুঁজে বের করেছি। প্রচার নয়, পাঠকের সুবিধার জন্য ইত্যাদির তেমনই কজন টেকসই উন্নয়নকর্মীর উদাহরণ তুলে ধরতে চাই।

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে নওগাঁ জেলার সেই গহের আলীর কথা। যার জীবিকা ছিল ভিক্ষান্ন। চাল-ডালের সঙ্গে ভিক্ষা হিসেবে তালের আঁটি এনে রাস্তার ধারে লাগিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করতেন। এভাবে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি তালগাছ লাগিয়েছেন তিনি। তার লাগানো সেই গাছ টেকসই উন্নয়নের প্রতীক হয়ে আজ সবাইকে ছায়া দিচ্ছে এতেই তার তৃপ্তি। পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই গহের আলী ৮০ বছর বয়সে পেয়েছিলেন জাতীয় পরিবেশ পদক-২০০৯।

পলান সরকারের কথাই ধরুন, ২০০৬ সালে প্রচারিত ইত্যাদির একটি পর্বে আলোকিত মানুষ হিসেবে তুলে ধরা হয় বইপ্রেমী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামের ৮৬ বছরের বৃদ্ধ পলান সরকারকে। যিনি তার গ্রামে হেঁটে হেঁটে মানুষকে বই বিতরণ করেন। ২০১১ সালে তিনি লাভ করেন একুশে পদক। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি একটি লাইব্রেরি করেছেন, তার অনুপস্থিতিতে যদি আমরা সেই লাইব্রেরিটিকে টেকসই করতে পারি, তবে গ্রামের তরুণ-তরুণীরা সেখানে গিয়ে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে।

আমাদের গর্ব বাঙালিদের মধ্যে প্রথম পরপর দুবার পৃথিবীর সর্বোচ্চশৃঙ্গ এভারেস্টজয়ী এম এ মুহিত ও বাংলাদেশের প্রথম মহিলা এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার। এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর যাদের হাতে ইত্যাদি লেখা লোগোটিও ছিল। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তিনবার স্বীকৃতি পাওয়া কুষ্টিয়ার হালিম, হলিউডের ছবিতে গ্রাফিক্স করে অস্কার বিজয়ী বাংলাদেশের তরুণ রাশেদ, মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপ প্রতিযোগিতায় ‘পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করা ‘টিম র‌্যাপচার’ দল। এদের ওপর নির্মিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছে।

বর্তমান সময়ে ফেসবুক একটি অতি ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কিন্তু অপব্যবহারের কারণে ক্ষেত্রবিশেষে এ ফেসবুক হয়ে উঠেছে অসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আমরা ফেসবুকের ভিন্নতর ব্যবহার দেখিয়েছি। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের তরুণ মামুন বিশ্বাস কীভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে অসহায় ও গরিব রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে, তা তুলে ধরেছি। যা দেখে অনেকেই ফেসবুকের ভিন্নতর ও সেবামূলক ব্যবহারে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। দেখিয়েছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া ৩০০ কৃষকসন্তান মিলে গড়ে তোলা গ্রিন সেভার্স নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কীভাবে নগরকৃষির প্রবর্তন করেছে। এই তরুণদের লক্ষ্য- যে ভূমিটুকু জুড়ে নির্মিত হয়েছে একেকটি বাড়ি সেই পরিমাণ স্থান বাড়ির ভিতরে ও ছাদে বাগান করে সবুজে সবুজে ভরে দেওয়া। তারা এখন পর্যন্ত ঢাকা শহরের প্রায় ৩ হাজার ছাদে বাগান করেছে। কে কেমন বাগান করল, কার ছাদের বাগানে কয়টি গাছ বা কয়টি ফল হলো এসব নয় বরং মানুষ ছাদে কীভাবে বাগান করবে এবং বাগান কীভাবে ফলে ভরবে সেটাই তারা হাতে-কলমে শেখায়।

চট্টগ্রামের আলমাস মিয়া। যিনি প্রমাণ করেছেন মানসিক শক্তি, কর্মস্পৃহা এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কাছে বয়স কোনো বাধা নয়। যে কারণে বার্ধক্য তার কাছে হার মেনেছে। তিনি একাই কোনো সহযোগী ছাড়া দীর্ঘ ১০ বছরে তৈরি করেছেন দ্বিতল বাড়ি। আজকের কর্মবিমুখ বহু তরুণ-যুবার কাছে তিনি হতে পারেন আদর্শ-আত্মশক্তিতে উজ্জীবিত হওয়ার অনন্য উদাহরণ।

সাম্প্রতিককালে আমরা দেখিয়েছি, একদা মঙ্গাপীড়িত নীলফামারীর শ্রমজীবী মানুষদের নৈপুণ্যে উত্তরা ইপিজেডে কীভাবে তৈরি হচ্ছে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য। যা সারা বিশ্বে রপ্তানি হচ্ছে। এসব বিচিত্র পণ্য যেমন এলাকার দৈন্য দূর করেছে, তেমনি প্রশংসিত হয়েছে উন্নত বিশ্বে। আর মঙ্গাপীড়িত নীলফামারী পরিণত হয়েছে দীপ্তিমান নগরীতে।

ইত্যাদির ৩০ বছরে আমরা সমাজ সংস্কার ও প্রেরণামূলক এমনই শত শত টেকসই প্রতিবেদন দেখিয়েছি। অনেক যোগ্য মানুষ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, যারা প্রচার পায় না-প্রচার চায়ও না, পুরস্কারের পেছনেও ছোটে না। গহের আলী, পলান সরকাররা এমনিতেই দায়িত্বশীল, পুরস্কার পেয়ে তাদের দায়িত্ব বাড়ে না।

আসলে আমাদের দেশের টিভি চ্যানেল যত বাড়ছে, দেখার আগ্রহ তত না বাড়লেও দেখাবার আগ্রহ বাড়ছে নানা ভাষায় নানা ভঙ্গিতে। একজন দর্শককে যদি প্রশ্ন করা হয় টিভি দেখতে বসে তিনি মোট কতবার রিমোট কন্ট্রোল যন্ত্রটি চেপেছেন তা হলে হয়তো তিনি ক্যালকুলেটরে হিসাব করেও বের করতে পারবেন না। শিক্ষা, তথ্য, বিনোদন এ তিনটিই হচ্ছে টেলিভিশনের মূলমন্ত্র। কিন্তু এ মূলমন্ত্র কটা টেলিভিশনে খুঁজে পাওয়া যায়? কারণ এখানেও টেকসই বিনোদন নেই। আমাদের পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, জারি-সারি, ভাটিয়ালি- এসব আমাদের অন্তরের গান, মাটির গান। নানান উদ্ভট কথার আইটেম সং আর ব্যয়বহুল চটুল মিউজিক ভিডিওর দৌরাত্ম্যে আমাদের এসব গান চাপা পড়ে যাচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। টেকসই। আমাদের এ সংস্কৃতি চিত্তে ধারণ করতে হবে। এখন হাজার হাজার নাটক হচ্ছে কিন্তু কেউ যখন উদাহরণ দেয়, তখন আশির দশক, নব্বই দশকের নাটকের কথা বলে। এখনকার নাটকের উদাহরণ কেউ দেয় না। সেই অর্থে বলা যায় তখনকার নাটক গল্প-গাঁথুনি ও বক্তব্যে ছিল গভীর মানসম্পন্ন ও শোভন, বলা যায় টেকসই। কিন্তু এখনকার বেশির ভাগ নাটক মানুষের মনে সেভাবে রেখাপাত করছে না। কিছু কিছু চ্যানেল যেন রিয়েলিটি শো নির্ভর। এসব রিয়েলিটি শোর সঙ্গে অর্থ যোগ থাকলেও আশানুরূপ টেকসই প্রতিভা পাওয়া যায় না।

আমাদের এখানে মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান প্রচারের চাইতে আত্মপ্রচারটাই বেশি হয়। যে কারণে পৃথিবীর বড় বড় চ্যানেলের মালিককে কেউ না চিনলেও আমাদের দেশের প্রতিটি চ্যানেলের মালিক এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের আত্মীয়-পরিজনকেও সবাই চেনে। দু-একটি চ্যানেলে সংবাদের এক তৃতীয়াংশ জুড়েই থাকে মালিকদের কর্মকা-ভিত্তিক সংবাদ। সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরা এমনকি আমাদের পাশের দেশের স্টার প্লাস, সনি- এসব চ্যানেলের মালিককে আমরা কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। রুপার্ট মারডকের কথাই ধরা যাক। তিনি একজন মিডিয়া ব্যবসায়ী। বিশ্বব্যাপী তার কয়েক শ পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেল রয়েছে, তার প্রকাশিত খবরে নড়ে ওঠে গোটা বিশ্ব। সে কারণে তাকে মিডিয়া সাম্রাজ্যের বাদশাহ বলা হয়। অথচ অনেকেই তাকে চেনেন না।

আমরা টেলিভিশন চ্যানেলের পর্দায় যাদের বেশি বেশি দেখি, যারা কাজের চাইতে বেশি কথা বলছেন, মনে করি এরাই বোধহয় দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ এদের চাইতে অনেক বেশি কাজ করেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের অচেনা মানুষগুলো। যারা প্রচারবিমুখ, যারা স্বীকৃতি বা মূল্যায়নের জন্য কাজ করেন না- সামগ্রিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করেন। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। যে ভূমিকায় প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠতা ও সততা।

কাগজের পাতা খুললেই আজকাল দেখা যায় কত দ্রুত অকালে জীবন ঝরে যাচ্ছে। রাস্তা অনিরাপদ হওয়ার প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। নিয়মিত অনিয়মই যেন এখানে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইন প্রয়োগ ও নিয়ম পালনের ক্ষেত্রেও টেকসই উন্নয়ন দরকার। আমরা গ্রামে বেড়া ডিঙিয়ে অন্যের খেতে অনধিকার প্রবেশের জন্য গরু-ছাগলকে খোঁয়াড়ে দিই কিন্তু শহরে তো গরু-ছাগল নেই, তার পরও মানুষের চলাচল বন্ধে তারকাঁটার বেড়া কিংবা পাইপ দিয়ে রাস্তার মাঝখানে আটকানো থাকে। কিন্তু কেউই যেন সেটাও মানতে চায় না। অনেক স্থানেই এসব কেটে রাস্তা পার হচ্ছে পথচারীরা অর্থাৎ অনধিকার চলা চলছেই। যদিও আইন অমান্য করার জন্য তাদের খোঁয়াড়ে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাটে চলার সময় প্রায়ই দেখা যায় অনেকেই হঠাৎ করে ট্রাফিক পুলিশের মতো মাঝরাস্তায় হাত উঁচিয়ে সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। কেউ ভাবছেন না এই যান্ত্রিক গাড়িটির যন্ত্র কথা না শুনলে কত বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সুতরাং শুধু চালক নয়, আমরা যারা পথচারী আমাদেরও যথেষ্ট সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আইনের প্রতি আমাদের আরও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নইলে আমাদের নিয়ম-শৃঙ্খলা কখনই টেকসই হবে না। কিছুদিন আগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে আইন মানতে হয় এবং মানাতে হয়।

আমরা দেশ বা সমাজের ভবিষ্যৎ দেখতে চাই তারুণ্যের আয়নায়। আজ আমাদের যুবসমাজের একটি বিশাল অংশের কেউ কেউ হতাশাগ্রস্ত, কেউ কেউ হতাশা বিলাসে মাদকাসক্ত হয়ে বিপথগামী, কেউ কেউ মোবাইল আড্ডায় হারাতে হারাতে হারিয়ে ফেলছে জীবনের পথ, কেউ কেউ আবার দিনভর-রাতভর টিভি-রেডিও আড্ডার উদ্ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। তরুণসমাজের একটি অংশের নানা অবক্ষয়ের চিত্র দেখে আমরা যখন হতাশ হয়ে যাই, তখনই মনে পড়ে এটাই সব নয়। ওপরে যা দেখা যাচ্ছে তা বন্যায় ভেসে আসা আবর্জনা। ওটা ভেসে চলে যাবে আর নিচে যা জমবে তা উর্বর পলি, সেটাই আসল।

আমাদের যত সমস্যাই থাক সম্ভাবনা অসীম। এ দেশের বড় সম্পদ তারুণ্যশক্তি। আমরা আমাদের তারুণ্যশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। একাত্তরে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৮০ ভাগের বেশি ছিল তরুণ, যাঁদের বয়স ছিল ৪০-এর নিচে। আমাদের তরুণ-তরুণীদের যোগ্যতার অভাব কীসে? এভারেস্ট জয় থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্বে অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের তরুণীরাও। শিক্ষায়, গবেষণায়, উদ্ভাবনে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মেধার স্বাক্ষর রাখছে আমাদের ছেলেমেয়েরা।

মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে সততা। সৎ না হলে যত বড় উন্নয়ন পরিকল্পনাই করা হোক না কেন, ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করলে তা নিশ্চয়ই টেকসই হবে না। উচিত সময়ে উচিত কথাটি বলতে হবে, উচিত কাজটি করতে হবে- সততার সঙ্গে, সাহসের সঙ্গে। লক্ষ্য রাখতে হবে, আমাদের কর্মক্ষেত্রের সর্বক্ষেত্রে আমরা যেন সতর্ক থেকে সৎ এবং সততা নিয়ে চলতে পারি। বলতে পারি সত্য কথা। আমাদের তরুণরা যদি নির্মোহ থেকে সমাজ সংস্কারে কাজ করে তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের বেগ পেতে হবে না।

মানবিক গুণাবলি ও নৈতিক মূল্যবোধে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে হবে। আমরা বলি, পানির অপর নাম জীবন কিন্তু কী পানি? তা হতে হবে বিশুদ্ধ পানি। নইলে তার অপর নাম হবে মরণ। তেমনি শিক্ষা হলেই চলবে না, প্রয়োজন সুশিক্ষা। বুদ্ধির ক্ষেত্রে প্রয়োজন সুবুদ্ধি। সুশিক্ষায়, সৎচিন্তায় ও অনুসরণে বুদ্ধি হবে সুবুদ্ধি। আবার কাজ করার ইচ্ছা থাকলেই চলবে না, থাকতে হবে সদিচ্ছা। কারণ সদিচ্ছা সৎ কাজ করতে উৎসাহিত করে। আর সৎ মানুষই পারে সততার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে; যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে এসডিজি বা টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্যে। যে উন্নয়নের স্থায়িত্বের দায়িত্ব আমাদের সবার।

► লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব

পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়ন কর্মী

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
যুদ্ধ নয় শান্তি
যুদ্ধ নয় শান্তি
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
হজের সূচনা যেভাবে হলো
হজের সূচনা যেভাবে হলো
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
সাইবার সুরক্ষা
সাইবার সুরক্ষা
ওএসডি কালচার
ওএসডি কালচার
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা  প্রয়োজন
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা প্রয়োজন
ইসলামে নারীর অধিকার
ইসলামে নারীর অধিকার
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা

৮ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের
সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

৫১ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিষক্রিয়ায় ১২০টিরও বেশি বিপন্ন শকুনের মৃত্যু
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিষক্রিয়ায় ১২০টিরও বেশি বিপন্ন শকুনের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংলিশ দলে ডাক পেলেন রিউ
ইংলিশ দলে ডাক পেলেন রিউ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চুয়াঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন হতাহত
চুয়াঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন হতাহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লক্ষ্মীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষি কর্মকর্তা নিহত
লক্ষ্মীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষি কর্মকর্তা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এল-ক্লাসিকোর রেফারি চূড়ান্ত
এল-ক্লাসিকোর রেফারি চূড়ান্ত

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তান থেকে সরিয়ে যেখানে হবে পিএসএল
পাকিস্তান থেকে সরিয়ে যেখানে হবে পিএসএল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাশ্মীরে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস
কাশ্মীরে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভারত ও পাকিস্তানের উচিত কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করা: যুক্তরাষ্ট্র
ভারত ও পাকিস্তানের উচিত কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করা: যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অন্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পরিণাম
অন্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পরিণাম

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাতভর অবস্থানের পর সকালেও চলছে যমুনার সামনে বিক্ষোভ
রাতভর অবস্থানের পর সকালেও চলছে যমুনার সামনে বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ মে)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?
ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের সঙ্গে আরও দেশ ছাড়লেন যারা
আবদুল হামিদের সঙ্গে আরও দেশ ছাড়লেন যারা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হঠাৎ একই দিনে ভারতে হাজির ইরান ও সৌদির দুই মন্ত্রী
হঠাৎ একই দিনে ভারতে হাজির ইরান ও সৌদির দুই মন্ত্রী

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সেনাসহ নিহত ১৩
পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সেনাসহ নিহত ১৩

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের তৈরি ২৫ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
ইসরায়েলের তৈরি ২৫ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না
‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম
এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের রাজস্থান-পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি, পুলিশের ছুটি বাতিল-বিমান টহল
ভারতের রাজস্থান-পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি, পুলিশের ছুটি বাতিল-বিমান টহল

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদা না পেয়ে হামলা লুট
চাঁদা না পেয়ে হামলা লুট

খবর

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে