ঢালিউড অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাত। ২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় তার ক্যারিয়ার শুরু, এরপর থেকে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে তিনি একজন দন্ত্য চিকিৎসকও বটে। বর্তমানে ব্যক্তিগত সফরে দুবাইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মিষ্টি। সেখানে বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তার কথা হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জাসেদুল ইসলাম।
হঠাৎ দুবাই সফর…
হঠাৎ নয়, প্রায়ই আসা হয়। কাজে-প্রয়োজনে ও ট্রানজিট নিতে দুবাই আসতেই হয়। বিশেষভাবে বলতে গেলে দুবাইতে আমাদের পরিবারের গাড়ির ব্যবসা ও আমার ক্লিনিক রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে এখানে একটি ক্লিনিকে আমার পার্টনারশিপ রয়েছে এবং আরও একটি ক্লিনিকের জন্য জায়গা বুকিং দেয়া হয়েছে। সেটার জন্য এখানে হেলথ মিনিস্ট্রির অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে এবার দুবাই আসা। এর বাইরে এখন একটু ফুসরত মিললে যাওয়া হয় জার্মানিতে, ওখানে রেসিডেন্স নেয়া হয়েছে। এর আগে, গত মাসেই তুরস্কে গিয়েছিলাম। ওখানে প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকা একটি ফেলোশিপের জন্য এবার টানা ১৫ দিন থাকতে হয়েছে। এছাড়া কাজের প্রয়োজনে শুটিং ও শো করতে সারাবছরই দেশে-বিদেশে আসা-যাওয়া চলতে থাকে।
বর্তমান ব্যস্ততা
নিজের ক্লিনিক, ফেলোশিপ, ব্যবসা ও অভিনয় নিয়ে সমানে ব্যস্ততা। মাঝখানে অনেকগুলো কাজের সাইনিংয়ে সময় দিতে হয়েছে। এই মুহূর্তে আমার হাতে চারটি ছবির কাজ রয়েছে। সব মিলিয়ে ছবিগুলো নিয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে। ডিসেম্বর নাগাদ কাজগুলো পর্যায়ক্রমে শুরু হবে। মূলত দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে ছবিগুলোর কাজ পিছিয়ে গেছে। আশা করা যায় ডিসেম্বর নাগাদ সিনেমাগুলোর শুটিং পর্যায়ক্রমে শুরু হবে। এছাড়া সম্প্রতি কয়েকটি টিবিসি করেছি। তবে তুরস্কে যাওয়ার কারণে দুটি বিজ্ঞাপনের কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে।
প্রেমের গুঞ্জন ও বিয়ে…
দেখুন তারকা মানেই নানা গুঞ্জন, তাদের নিয়ে এমন চর্চা হওয়াটা স্বাভাবিক। যদিও বিয়ে নিয়ে আপাতত ভাবছি না, কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাই। আল্লাহ চাইলে ২০২৬ সালে বিয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। আর প্রেমের গুঞ্জন বিষয়ে বলবো, আমিই একমাত্র চলচ্চিত্র শিল্পী- আমাকে জড়িয়ে প্রেমের গুঞ্জন সেভাবে কখনোই ছিল না। কেউ বলতে পারবে না আমার বয়ফ্রেন্ড আছে বা ছিল। আমি মনে করি ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে থাকাই ভালো। কিন্তু আমি যেহেতু নায়িকা, সেক্ষেত্রে রিউমারতো আর আটকে রাখতে পারবো না। এসব নিয়েই আমাদের চলতে হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে চলচ্চিত্রে কোনো প্রভাব…
দেশের এই পটবদলের প্রভাব চলচ্চিত্রেও পড়েছে। তবে খুব বেশি যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তা নয়। বরং চলচ্চিত্র নিয়ে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। বলা যায়, দেশের অন্যান্য সংস্কারের সাথে চলচ্চিত্রেও যুগোপযোগী সংস্কার আসবে। আশা করছি, দ্রুতই চলচ্চিত্রে গতি আসবে। সেজন্য একটু সময় দরকার। নতুন যারা দায়িত্ব নিয়েছেন- তাদের গুছিয়ে উঠতে একটা যৌক্তিক সয়ম দিতে হবে।
তারকাদের রাজনীতিতে আসা নিয়ে আপনার ভাবনা
আমি মনে করি, একটা সময়ে গিয়ে তারকারা রাজনীতিতে যুক্ত হতেই পারেন। তবে ক্যারিয়ারের শুরু বা মাঝামাঝিতে চলচ্চিত্র তারকাদের রাজনীতিতে যাওয়া উচিত নয়। একজন অভিনয় শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রকে অনেক কিছু দেওয়ার থাকে। তাই ক্যারিয়ারের একটা পর্যায়ে কাজ কমিয়ে দিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হতে পারেন তারকারা। সেক্ষেত্রে বিভেদ ও বিভাজনের রাজনীতি না করাই ভালো, কারণ শিল্পীরা সবার।