হিককাপ অব মাইন্ড বা মনের ঢেঁকুর বলে থাকে শুচিবাইকে। জীবনে যে কোনো সময়ে ২-৩ ভাগ লোক শুচিবাইয়ে আক্রান্ত হতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন-
এর দুটি অংশ- প্রথম অংশটি হলো বারবার চিন্তা আসা। রোগীরা প্রায়ই বলে থাকে, ডাক্তার খালি টেনশন আসে। কোনো কোনো রোগীর দিনের শেষে রাতের বেলায় শুরু হয় বিশেষ কোনো ঘটনা বারবার মনে পড়া। আবার কেউ কেউ কোনো ঘটনা বলার জন্য স্বামীকে বারবার বিরক্ত করে, অথচ তা একবার বললেই হয়।
অপর অংশটি হলো-চিন্তাকে কাজের অথবা আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা, যাকে আমরা কম্পালশন বলি।
মাথায় সারাক্ষণ টেনশন থাকে। কেউ কেউ বলে একটা টেনশন গেলে অন্যটা আসে। কিছুক্ষণের জন্যও মাথা টেনশন মুক্ত হয় না। কেবল কল্পনা আসে।
কোনো কোনো রোগীর তীব্র ইচ্ছা হয় অন্যকে ইনজুরি করা, গাড়ির নিচে ঝাঁপ দেওয়া, বিশেষ কোনো জায়গায় গেলে ভয় পায়। এটাকে অবসেসনাল ফোবিয়া বলে।
কেউ কেউ একই ভঙ্গিতে গুনবে এবং ঘরের কাপড়-চোপড় গুছিয়ে রাখবে। একটু এদিক-ওদিক হলে সবার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া লাগিয়ে দেয়।
কী কী সমস্যা-
মেয়েদের মাসিকের সময় অস্বস্তি বেড়ে যায়।
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাদের শুচিবাই আছে তারা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে।
কোনো কাজ সম্পন্ন করতে অনেক সময় লাগে, পরীক্ষার সময় কোনো কোনো ছাত্রছাত্রী পেছনের পাতায় কী লিখেছে তা বারবার চেক করে। এ কারণে পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বরের উত্তর লিখে আসতে পারে না।
আসলে এটি একটি টেনশন বা অস্থিরতা গ্রুপের রোগ, যাকে আমরা প্যানিক ডিজঅর্ডার বলে থাকি। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না করলে, রোগীরা নানা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই সচেতন হোন।
লেখক: মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ