ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। ইরানে এক হামলায় তিনি নিহত হন বলে নিশ্চিত করেছে হামাস। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীও হামাসের এ শীর্ষ নেতার নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে।
আগের দিন মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করেন।
ওই সাক্ষাতে ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের আন্দোলনের প্রতি অটল সমর্থন প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ শেষ পর্যন্ত ‘চূড়ান্ত বিজয়’ আনবে বলে তার বিশ্বাস।
পেজেশকিয়ান ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের প্রতি ইরানি জনগণের ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে বলেন, এটা ইসলামী বিপ্লবের আগের সময় থেকে চলে আসছে। তিনি বলেন, ‘যে কোনও ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে, ইহুদিদের নিষ্ঠুর অপরাধগুলো সব মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে ঘৃণা উদ্রেক করে।’ ইরানের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ এবং যোদ্ধাদের সাহসী প্রতিরোধে আমরা গর্বিত এবং এটা সম্মানের উৎস। তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এই সংগ্রাম শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের মুক্তি এবং ইসরায়েলি শাসনের পতন ঘটাবে।
জবাবে হানিয়া ইরানের ভোটারদের আস্থা অর্জনের জন্য পেজেশকিয়ানকে অভিনন্দন জানান এবং ফিলিস্তিনি অধিকারের জন্য তার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে বৈশ্বিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম সারি হিসেবে বর্ণনা করেন এবং ইসরায়েলি শাসন ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ফ্রন্টকে সমর্থন করার ইরানের কৌশলের গুরুত্বকে গুরুত্বারোপ করেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল