যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা আসার পর থেকেই ট্রাম্প শিবিরে একের পর এক ধাক্কা আসছে। সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, জনপ্রিয়তায় কমলা ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গেছেন। তহবিল সংগ্রহেও কমলা এগিয়ে আছেন। সম্প্রতি কমলার বর্ণ পরিচয় নিয়ে আক্রমণ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প।
এ পরিস্থিতিতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে কমলার সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে তিনি সম্মতি দিয়েছেন। গত শুক্রবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ফক্স নিউজের সঙ্গে তিনি ৪ সেপ্টেম্বর কমলার সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে সম্মত হয়েছেন।
একই দিন, কমলা হ্যারিস আনুষ্ঠানিকভাবে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় কমিটি চেয়ারম্যান জেইম হ্যারিসন এ ঘোষণা দেন।
সিএনএন জানায়, ই-মেইলে ভোট গ্রহণের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই কমলা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। দলের জাতীয় সম্মেলনে কমলার প্রার্থিতা চূড়ান্ত হবে।
মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর কমলা হ্যারিস বলেন, ‘ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। আগামী সপ্তাহে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন গ্রহণ করব।’
যদিও ট্রাম্প বিতর্ক করতে রাজি হয়েছেন, তবে এ বিষয়ে কমলার তাৎক্ষণিক মতামত জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সম্মত হবেন।
গত ২১ জুলাই, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং কমলাকে সমর্থন করেন। এর পর থেকেই কমলা প্রচারণা শুরু করেন। জুন মাসের শেষে সিএনএন আয়োজিত বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে বাইডেন ধরাশায়ী হন। এরপর থেকেই দলের পক্ষ থেকে বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর চাপ বাড়তে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি সরে দাঁড়ান।
বাইডেন প্রার্থী থাকলে ১০ সেপ্টেম্বর এবিসি টেলিভিশনে ট্রাম্পের সঙ্গে তার বিতর্ক হওয়ার কথা ছিল। বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর কমলার সঙ্গেই ট্রাম্পের বিতর্কের আলোচনা চলছিল। তবে কমলার আনুষ্ঠানিক প্রার্থী না হওয়ায় ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এই বিতর্কের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল