নির্বাচন সামনে রেখে এবার ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) নামক প্রজননপদ্ধতিতে আগ্রহী মার্কিন নাগরিকদের সুখবর দিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আগ্রহী সবাইকে বিনা মূল্যে এ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রেও প্রচলিত রয়েছে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ)। যেটা মূলত প্রজনন সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সন্তান জন্মদানে সহায়তা করার জন্য প্রচলিত বেশ কয়েকটি কৌশলের মধ্যে একটি। আইভিএফ পদ্ধতিতে, নারীদের ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু অপসারণ করা হয় এবং পরীক্ষাগারে সেটি শুক্রাণু দিয়ে নিষিক্ত করা হয়। নিষিক্ত ডিম্বাণু, যাকে ভ্রূণ বলা হয়, সেটিকে নারীর গর্ভে প্রবেশ করানো হয়, যেন সেটি মায়ের গর্ভে বৃদ্ধি ও বিকাশ লাভ করতে পারে। এই পদ্ধতিতে দম্পতিরা নিজেদের ডিম্বাণু ও শুত্রাণু ব্যবহার করতে পারে কিংবা ডোনারের ডিম্বাণু ও শুক্রাণু ব্যবহার করতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এই সুবিধা বিনা মূল্যে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু এর খরচ কিভাবে মেটানো হবে, তা নিয়ে কিছুই বলেননি। মিশিগানের পটারভিলে এক সমাবেশে এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, ‘আমি আজ বড় একটি ঘোষণা দিচ্ছি। আর তা হলো আইভিএফ চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট সব খরচ ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে আপনাদের সরকার কিংবা আপনাদের বিমা কোম্পানি বহন করবে।’
এর আগে, ২০২২ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের অধিকারকে কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষা দেওয়ার রায় দেন। তখন থেকে প্রজননের অধিকারসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বড় ধরনের বেকায়দায় রয়েছেন রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প। ফেব্রুয়ারিতে আলাবামার একটি আদালতে এ–সংক্রান্ত রুলের পর তার দুর্বলতা আরও বেড়েছে। আদালতের রুলে বলা হয়, আইভিএফ পদ্ধতিতে সৃষ্ট হিমায়িত ভ্রূণগুলোকে মানবসন্তান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
আদালতের সিদ্ধান্তের পর কয়েকটি ক্লিনিকে আইভিএফ সেবা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি আইভিএফ সমর্থন করেন।’ যদিও মার্কিন নাগরিকদের সবারই যে বিমা পরিকল্পনায় ফার্টিলিটি চিকিৎসার সুযোগ থাকে, এমনটা নয়। এক দফায় আইভিএফ চিকিৎসা নিতে ২০ হাজার ডলারের বেশি খরচ হয়, যা অনেকের জন্য ব্যয়বহুল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেছেন, তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে নতুন মা-বাবারা নবজাতক বাবদ খরচগুলোকে তাদের কর বিল থেকে কাটাতে পারবেন। তার দাবি, ট্রাম্প প্রশাসন পরিবারবান্ধব।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক