ইহুদিবাদী ইসরায়েলের উপর প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃষ্টির মতো ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানছে ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের এই হামলার আওতায় এসেছে পুরো ইসরায়েল। হামলায় প্রথমবারের মত নিজেদের নির্মিত অত্যাধুনিক ফাতাহ ১ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইরান।
এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের আধা-সরকারি গণমাধ্যম মেহর নিউজ। ফাতাহ ইরানের দেশীয়ভাবে উৎপাদিত প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। ইরানি সামরিক বাহিনী গত বছর এই অস্ত্রটি প্রকাশ করেছিল। তারা জানিয়েছিল, এটি শব্দের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি দ্রুত ছুটতে পারে। তাছাড়া এটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানতে সক্ষম।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন, মঙ্গলবার রাতের হামলা ইরানের সামর্থ্যের ‘ঝলক’ মাত্র। ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াবেন না। ইরানের ‘বৈধ অধিকারে’র ওপর ভিত্তি করে ‘ইরান এবং এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা’র উদ্দেশ্যে, ‘ইরানের স্বার্থ ও নাগরিকদের রক্ষায় ইসরায়েলকে ‘অবধারিত’ জবাব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আইআরজিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আত্মরক্ষার তাগিদে তারা এই হামলা চালিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরপরই আইআরজিসি এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু’।
আইআরজিসি পরিষ্কার করে বলেছে, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি’র ডেপুটি কমান্ডার আব্বাস নীলফোরুশানের শাহাদাতের বদলা নিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। আইআরজিসি বলেছে, আমরা অধিকৃত ভূখণ্ডের হৃদপিণ্ডে আঘাত করেছি। সূত্র : আলজাজিরা ও সিএনএন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক