ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জর্ডান, মিশর এবং তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন। তেহরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মতে, এই সফর ইরানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ, যার মাধ্যমে ‘গণহত্যা, নৃশংসতা এবং আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য’ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। তবে সফরের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তেহরান জরুরি কূটনৈতিক আলোচনা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে ইরান চেষ্টা করছে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার মাত্রা কমানোর এবং তা সম্ভব না হলে নিজেদের সুরক্ষার জন্য আঞ্চলিক সমর্থন লাভের।
সিএনএন-এর সূত্রে জানা গেছে, ইরান উদ্বিগ্ন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে তাদের পরমাণু স্থাপনা এবং তেলের খনিগুলোতে হামলা না করার বিষয়ে রাজি করাতে পারবে কি না।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন, তাদের পাল্টা হামলা সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে ইরানের তেলের স্থাপনায় আঘাত হানলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং পরমাণু স্থাপনায় হামলা হলে পুরো অঞ্চলে ব্যাপক যুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হামলা এড়ানোর চেষ্টা করছেন।
ইরানের এই সফর আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল