রাশিয়ার গোয়েন্দা নজরদারির আশঙ্কায় সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক কর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের ব্যবহৃত সরকারি ডিভাইসগুলোতে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ইউক্রেন। শুক্রবার ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিল এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। টেলিমেট্রিও ডাটাবেজ অনুযায়ী, ইউক্রেনে প্রায় ৩৩ হাজার টেলিগ্রাম চ্যানেল সক্রিয় রয়েছে। দেশটির ৭৫ শতাংশ নাগরিক যোগাযোগের জন্য টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন এবং ৭২ শতাংশ একে তথ্যের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করেন।
টেলিগ্রাম অ্যাপটি ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয় দেশেই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের পর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উৎসে পরিণত হয়। তবে যুদ্ধের সময় এ প্যাটফরমের নিরাপত্তা নিয়ে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
ইউক্রেনের শতাধিক ড্রোন ধ্বংস করার দাবি রাশিয়ার : এক রাতেই ইউক্রেনের শতাধিক ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে রাশিয়া। গতকাল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে এ ঘটনায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে এক পোস্টে জানিয়েছে, ১০১টি ইউক্রেনীয় ফিক্সড-উইং ইউএভি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এসব ড্রোনের হামলা প্রতিহত করেছে। ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলে ৫৩টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ওই অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, সেখানে ড্রোন হামলার ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রতিবেশী ক্রিমিয়ার ক্রাসনোদার শহরের ওপর ১৮টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ওই অঞ্চলটি দখল করে নেয় রাশিয়া। ক্রাসনোদরের গভর্নর ভেনিয়ামিন কন্ড্রাতিয়েভ জানিয়েছেন, টিখোরেতস্কি জেলায় একটি ড্রোন থেকে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ার পর বিস্ফোরক বস্তু থেকে আগুন ধরে যায়।
টেলিগ্রামে এক পোস্টে তিনি জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে দুই পক্ষের সংঘাত চলছেই। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় প্রতিদিনই ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত বা ধ্বংস করার কথা জানাচ্ছে রাশিয়া।