কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে গণঅধিকার পরিষদের তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে তাড়াইল বাজার বালুর মাঠ সংলগ্ন এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ তাড়াইল উপজেলা শাখার সভাপতি জহিরুল হক।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ঢাকা থেকে আসতে গিয়ে রাস্তায় যে অবস্থা দেখলাম, এতে মনে হলো উন্নয়নের নামে কিশোরগঞ্জবাসীর সাথে বেইমানি করা হয়েছে। পুরো রাস্তা ভাঙাচোরা, কর্দমাক্ত। তিনি প্রশ্ন রাখেন, যে জেলা থেকে তিনজন রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, সেই জেলার এই হাল কেন? এই এলাকার জনপ্রতিনিধি ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি তো জাতীয় বেইমান। জাতীয় পার্টিকে শেখ হাসিনার দোসর বানিয়েছেন তিনি। জিএম কাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে গিয়েছেন। এই বেইমানকে আপনাদের উচিত তাড়াইলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে কিশোরগঞ্জে যারা গুলি চালিয়েছে তাদের অনেকেই এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের দ্রুত আটক করতে হবে। আমরা শুনেছি শেখ হাসিনা ভারত ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার ঠিকানা কোনো দেশে নয়, শেখ হাসিনার ঠিকানা হবে তার সৃষ্টি করা আয়নাঘরে।
দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঐতিহাসিক সমাপ্তি ২০২৪ এর ছাত্র জনতার এই অভ্যুত্থান। দীর্ঘ ১৬ বছর শেখ হাসিনার গুম, খুন, হত্যা নির্যাতনের বহিঃপ্রকাশ এই অভ্যুত্থান। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ, বিএনপি, জামায়াত, ডান বাম সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।
গণঅধিকার পরিষদের তাড়াইল উপজেলা শাখার সদস্য সচিব জাকিরুল ইসলাম বাকির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের বৈদেশিক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সহ দপ্তর সম্পাদক মোখলেসুর রহমান উজ্জ্বল প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল