মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্প্রতি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে যেভাবে তাৎক্ষণিক বিচার হয়েছে, ঠিক বাংলাদেশেও এমন অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনা হবে। সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতে এসব সন্ত্রাসীদের চেহারা ধরা পড়েছে।
শনিবার দুপুরে মাদারীপুরের খাগদী এলাকায় নাশকতাকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া বিলাসবহুল বাস ও তেলের পাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, দেশের মধ্যে জঙ্গি কোথায় লুকিয়ে আছে সেটা বলা যায় না। দৃশ্যমান জঙ্গি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গর্তের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বিদেশি মদদদাতা, বিদেশি প্রভুদের মদদে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়, সেগুলো একবারে নির্মূল করা সম্ভব হয় না। ভালো মানুষ তারা ভালো চিন্তা করে। খারাপ মানুষের চিন্তা মন্দ হয়।
তিনি বলেন, বিগত দিনে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন যেভাবে শাজাহান খান এমপি প্রতিহত করেছেন, সেই ক্ষোভেই শ্রমিক নেতা শাজাহান খানের মালিকানাধীন যানবাহন ও তেলের পাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতকারীরা। যে যানবাহনে সাধারণ জনগণ চলাচল করে, এগুলো স্বাভাবিক মানুষ কখনই ক্ষতি করতে পারে না। এটা প্রতিহিংসার জের, এতে কোনো সন্দেহ নাই। ১৯৭১ সালে যেভাবে পাক হানাদার বাহিনীদের সাথে এদেশের দোসর রাজাকার, আলবদর, জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে, ঠিক তেমনি কোটা আন্দোলনের নামে যে ঘটনা, ১৯৭১ সালের হুবহু মিল রয়েছে। এই হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান, মাদারীপুরের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাফিজুর রহমান যাচ্চু খান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদারসহ অনেকেই।
বিডি প্রতিদিন/এমআই