আন্দোলনে কোনো শিশু মারা যায়নি। শিশু হিসেবে যাদেরকে দাবি করা হয়েছে তারা সবাই কিশোর। হয়তো দুই-একজন কিশোর মারা গেছে। তবে এই আন্দোলনে শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ সকাল ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে। একই সাথে তিনি বলেন, যেহেতু আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, সে জন্য অসহযোগিতা আন্দোলনের কর্মসূচি তুলে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই দেশের জনগণ যদি আন্দোলনে যুক্ত হয়, হবে, সেটা আমরা নসাৎ করতে চাই না। সেক্ষেত্রে তারা আক্রমণের শিকার হবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখন আপনাকে যদি মারে, আপনি মার দেবেন না? আপনি বসে থাকবেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জীবনরক্ষা করার অধিকার তাকে দেওয়া হয়েছে। আপনাকে যদি কেউ অ্যাটাক করে, আপনি সেলফ ডিফেন্সে যেতে পারেন, এটা আইনগত অধিকার। পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। চরম ধৈর্য সহকারে এই আন্দোলনের শুরু থেকেই মোকাবিলা করে আসছে।
তাহলে কাদের গুলিতে মারা গেছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আপনার জানা উচিত, আমাদের কাছে যে গুলির ইয়েগুলি পেয়েছি, এর অনেকগুলো পুলিশের রাইফেলের গুলি নয়। পুলিশ এগুলো ইউজ করে না। যুবলীগের নেতা দেখেছেন, তারা বাধা দিতে গেছে, গুলি করতে যায়নি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, আমার ছাত্রলীগের নেতা কয়জন মারা গেছেন, আওয়ামী লীগের নেতা কয়জন মারা গেছে, তাহলে সেটা জিজ্ঞেস না করে উল্টোটা জিজ্ঞেস করলেন?
আসাদুজ্জামান খান বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নিয়েছি। এখন সময় এসেছে ছাত্রদের দাবি যেহেতু অবশিষ্ট নেই, আমরা আশা করি স্ব-স্ব ক্ষেত্রে চলে যাবেন। তারা যেন লেখাপড়ায় ফিরে যান। যেহেতু তাদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীরা যে মন্ত্রীদের পদত্যাগ চেয়েছে সে বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ‘প্রয়োজন হলে এবং প্রধানমন্ত্রী মনে করলে তিনি পদত্যাগ করবেন। এরপরেও কোনো দাবি থাকলে প্রধানমন্ত্রীর দরজা খোলা আছে। তাদের কিছু বলার থাকলে বলতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থী যাদের আটক করা হয়েছিল শুক্রবার ও শনিবার তাদের ১৩৪ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। যেসব ছাত্রকে আটক করা হয়েছে তাদের ছেড়ে দিচ্ছি। তবে সুনির্দিষ্ট বিষয় যেমন যাত্রাবাড়ীতে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছিল- এমন ঘটনাগুলো ছাড়া বাকিদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল