জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে। আবারো প্রমাণ হয়েছে, তারুণ্যের সামনে স্বৈরাচারের দানবীয় শক্তি খড়কুটোর মতো ভেসে যায়। আমাদের সন্তানরা স্বৈরাচারের গুলির সামনে বুক পেতেছে অসীম সাহসে। ছাত্ররা জীবন দিয়ে স্বৈরাচারকে পরাজিত করেছে।’
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। এই তরুণ ও যুবকদের ভোটেই আগামী দিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে। তাই, তরুণদের আকৃষ্ট করতে আগামীতে জাতীয় পার্টি নতুন ধারার রাজনীতি করবে।’
রবিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় তরুণ পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা ছাত্রদের সমর্থন দিয়েছি। ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দালন শুরু হয়। আমি ৩ জুলাই সংসদে শেখ হাসিনার সামনে বক্তৃতায় বলেছি.... ছাত্রদের দাবি যৌক্তিক। চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থি। দেশের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে যেকোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।’
জিএম কাদের আরও বলেন, ‘৬ জুলাই গাজীপুরে জাতীয় পার্টির সম্মেলনে আমি বলেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যৌক্তিক। কোটা পদ্ধতি স্বাধীনতাযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থি। জাতীয় পার্টি যৌথসভা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সর্বতভাবে সমর্থন দিয়েছে। যখন বৈষম্ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করা হলো, আমরা তাদের মুক্তি দাবি করেছি। আমার নির্দেশে জাতীয় ছাত্র সমাজ ব্যানার নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছে। রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা মামলার আসামি হয়ে হাজতবাস করেছে।’
আওয়ামী সরকার রংপুরে জাতীয় পার্টির নেতাদের পদ-পদবী উল্লেখ করে মামলা করেছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘আন্দোলনরত ছাত্রদের আমি বীর মুক্তিসেনা হিসেবে অভিহিত করেছি। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সবার আগে রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়াত করে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ৯ দফা ও সর্বশেষ ১ দফায়ও আমরা সমর্থন দিয়েছিলাম। দেশের মানুষ জানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের ভূমিকা, গণমাধ্যমে এর প্রমাণ এখনো আছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের অবদান ষড়যন্ত্র করে মুছে ফেলা যাবে না।’
জাতীয় তরুণ পার্টির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোড়ল জিয়াউর রহমান এর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, মনিরুল ইসলাম মিলন, মো. আরিফুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন