ইউরোপে ঘুরতে গিয়ে মারা গেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি কাজী অনির্বাণ।
বুধবার সুইজারল্যান্ডের একটি হোটেলে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন অনির্বাণের জেঠাতো বোন খিলখিল কাজী।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “অনির্বাণ তার স্ত্রীকে নিয়ে কিছুদিন আগেই ইউরোপে ঘুরতে গিয়েছিল। বুধবার তারা সুইজারল্যান্ডে যায়। সেখানে হোটেল কক্ষে প্রবেশ করার পর ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে সেখানেই মারা যান।"
১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া কাজী নজরুল ইসলাম ২৫ বছর বয়সে কলকাতায় প্রমীলা দেবীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে চার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়, যাদের মধ্যে প্রথম সন্তান কৃষ্ণ মোহাম্মদ মারা যায় খুব ছোট বয়সে। দ্বিতীয় সন্তান অরিন্দম খালেদ বুলবুলের মৃত্যু হয় মাত্র চার বছর বয়সে। অপর দুই সন্তানের মধ্যে কাজী সব্যসাচী ও কাজী অনিরুদ্ধ কেউই দীর্ঘায়ু পাননি। কাজী সব্যসাচীর মেয়ে খিলখিল কাজী, মিষ্টি কাজী ও বাবুল কাজী বাংলাদেশের নাগরিক। আর কাজী অনিরুদ্ধের পরিবারের বসবাস কলকাতায়। তার স্ত্রী কল্যাণী কাজী লেখক ও সংগীতশিল্পী।
তাদের তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে কাজী অনির্বাণ, কাজী অরিন্দমের (সুবর্ণ) ঠিকানা কলকাতায়, আর অনিন্দিতা কাজী নিউ জার্সি প্রবাসী।
কাজী অনির্বাণের মৃতদেহ কলকাতায় সমাহিত করা হবে জানিয়ে খিলখিল কাজী বলেন, “ওরা তো কলকাতায় থাকতো। সুইজারল্যান্ড দূতাবাসে আলাপ করা হচ্ছে- মরদেহ আনার ব্যাপারে। মরদেহ এনে কলকাতায় সমাহিত করা হবে। আমিও কলকাতায় যাব শেষ বিদায় জানাতে।"
অনির্বাণের বাবা অনিরুদ্ধ ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কাজী নজরুল জীবিত থাকতেই মারা যান।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ