বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বিগত সময়ে আমরা দেখেছি সচিবরা ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ীরা রাজনীতিবিদ হয়ে গেছেন।
বুধবার সকালে নগরীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির জনশুনানি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়কালে প্রশাসন, আইন-আদালত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য সবক্ষেত্রে ছিল দুর্নীতির রাজত্ব। যার শীর্ষে ছিল অর্থনীতি খাত। এমন বাস্তবতায় অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির তৃতীয় জনশুনানি হয় রাজশাহীতে। তাতে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের নানাখাতের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। রাজনৈতিক বিচেনায় নেওয়া প্রকল্প বাতিল, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কারের নানা পরামর্শ তুলে ধরা হয় শুনানিতে। জনশুনানিতে নাগরিকরা তুলে ধরেন- মেগা প্রকল্প, ফ্লাইওভার, জলাবদ্ধতা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীনতা, সিডিএ-ওয়াসার মতো সংস্থার নানা অনিয়ম-দুর্নীতি।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আগামী দিনের যেকোনও সমস্যা নিরসনের জন্য দুর্নীতি যদি দূর করতে না পারি তাহলে অনেক সম্ভাবনা কার্যকর হবে না। এ দুর্নীতি বন্ধ করার একটি বড় বিষয় হচ্ছে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা যেমন ফেরত আনতে হবে, দেশের ভিতরে যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের শাস্তি হতে হবে। তাদের যদি দৃশ্যমান শাস্তি না হয় আগামী দিনে যে মৌলিক ও নীতিগত মূল্যবোধ ভিত্তিক নজরদারির কথা বলছি, সেটা দুর্বল হয়ে যাবে। দুর্নীতি এক নম্বর শত্রু।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় জনশুনানিতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ম তামিম উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/একেএ