শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী আজ। এদিন সন্ধ্যায় দেবী দুর্গার ‘মহা আরতি’ করা হয়। মহানবমীতে বলিদান ও নবমী হোমের রীতি রয়েছে।
‘সন্ধিপূজা’শেষ হলে শুরু হয় মহানবমী। ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হবে দেবী দুর্গার। পূজা শেষে যথারীতি থাকবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রাণের উৎসবে ভক্তদের মধ্যে বইবে বিষাদের সুর। এদিন সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়ে থাকে মণ্ডপে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, দুর্গা রুদ্ররূপ (মা কালী) ধারণ করে মহিষাসুর এবং তার তিন যোদ্ধা চন্ড, মুন্ড এবং রক্তবিজকে হত্যা করেন। নবমী তিথি শুরুই হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। সন্ধিপূজা হয় অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর সূচনার প্রথম ২৪ মিনিট জুড়ে। মূলত দেবী চামুন্ডার পূজা হয় এই সময়ে। ১০৮টি মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ও ১০৮টি পদ্মফুল নিবেদন করা হয় দেবীর চরণে। আর ঠিক এই কারণে পূজার মন্ত্রেও সেই বিশেষত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, মহাষ্টমীর দিন সকাল থেকেই দেবী দুর্গার মহাষ্টমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা শুরু হয়। সকাল ৯টা থেকে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কুমারী বালিকার মধ্যে বিশুদ্ধ নারীর রূপ কল্পনা করে তাকে দেবী জ্ঞানে এ পূজা করেন ভক্তরা। এরপর কুমারী পূজা শেষে দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন