রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান। এ কাজে চীনের আরও আন্তরিক ও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।
সোমবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ সামরিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সরকার চীনের নতুন নতুন বিনিয়োগ আশা করে। বিশেষ করে গ্রিন এনার্জি, আইসিটি খাত এবং সামরিক খাতে সহযোগিতা আশা করে। চীনে বাংলাদেশের রফতানি বাড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় বেইজিং। বাংলাদেশের সব ধরনের সংকটে সবসময় চীন পাশে ছিল। কোভিড-১৯ কিংবা জুলাই আন্দোলনেও চীনা কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা দেশ ছেড়ে যায়নি। সব প্রকল্প সময়মতো শেষ হয়েছে। ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক আগের মতোই অব্যাহত থাকবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর টানেলের অর্থনৈতিক উপযোগিতা বাড়াতে আনোয়ারায় চায়না ইপিজেড গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের উন্নয়নে আরও স্বচ্ছতা আনতে অর্থনৈতিক বিষয়টিকে প্রধান্য দিতে হবে। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক বিষয়কেও গুরুত্ব দিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ