গুরুগম্ভীর চেহারাই যেন গুরু (ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান প্রধান কোচ) গৌতম গম্ভীরের সাথে মানানসই। তার মুখাবয়বে হাসির রেখা বিরলই বটে। গম্ভীর নিজেও সে কথা জানেন। তিনি বলেছেনও, ‘মানুষ আমার হাসি দেখতে মাঠে আসে না, আমার দলকে জিততে দেখতে আসে।’
গম্ভীরের ব্যক্তিত্ব নিয়ে এবার একটু মজাই করলেন ভারতের সাবেক কোচ রাহুল দ্রাবিড়। শুভেচ্ছা বার্তায় গম্ভীরকে বললেন, একটু হাসি দিয়ে সবাইকে চমকে দিতে।
গম্ভীরকে হাসার উপদেশ দিয়ে দ্রাবিড় বলেছেন, ‘কাজটা যদি তোমার জন্য কঠিনও হয় তবু হেসো। ফল যাই হোক না কেন, এটা মানুষকে অবাক করবে।’
ভারতের সাবেক কোচ গম্ভীরের উদ্দেশে বলেন, ‘ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে উত্তেজক দায়িত্ব ভারতের কোচ হওয়া। সেই কাজে তোমায় স্বাগত। তিন সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে আমি দায়িত্ব ছেড়েছি। যেভাবে শেষটা হয়েছে তা স্বপ্নের মতো। সেটা বার্বাডোজ হোক বা মুম্বাইয়ে। সেই মুহূর্তগুলো আমি কোনও দিন ভুলতে পারব না। আমি চাইব কোচ হিসাবে তুমিও এই স্বাদ পাও। আশা করব তোমার দলের সব ক্রিকেটার সুস্থ থাকবে। সব সময় তুমি তাদের পাবে। কোচদের কিছুটা ভাগ্যের সাহায্য প্রয়োজন হয়। আশা করি তুমি সেটা পাবে।’
গম্ভীর এবং দ্রাবিড় এক সময় সতীর্থ ছিলেন। সেই সময় গম্ভীরকে ক্রিকেট মাঠে নিজেকে উজাড় করে দিতে দেখেছেন। দ্রাবিড় বলেন, ‘ব্যাট করার সময় তোমাকে সঙ্গী হিসাবে দেখেছি, ফিল্ডার হিসাবে দেখেছি। তুমি সব সময় জয়ের জন্য ঝাঁপাতে। আইপিএলেও তোমার হার না মানা মানসিকতা দেখেছি। তোমার মধ্যে জেতার খিদে রয়েছে। সেই সঙ্গে তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে সেরাটা বার করে নিয়ে আসার ক্ষমতা রয়েছে। প্রত্যাশার চাপ থাকবে। সমালোচিত হতে হবে। কিন্তু তুমি কখনও একা থাকবে না। ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, সাবেক অধিনায়ক, ম্যানেজমেন্ট তোমার পাশে থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে ভারতের সমর্থকেরা।’
দ্রাবিড়ের এই বার্তা শুনে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি গম্ভীর। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কী বলব। আমি দ্রাবিড়ের খেলা দেখে বড় হয়েছি। ওর রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে চলেছি। ক্রিকেটের জন্য এতো ত্যাগ করতে আমি আর কাউকে দেখিনি। ভারতীয় ক্রিকেটের যা যা প্রয়োজন দ্রাবিড় সব করেছে।’
শনিবার থেকেই শুরু ভারত-শ্রীলঙ্কা সিরিজ। সেই সঙ্গে পরীক্ষা শুরু গম্ভীরেরও। নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবেরও পরীক্ষা শনিবার।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল