২৮ মে, ২০২৩ ১৭:১০

লোকসানের ঝুঁকিতেও চালু হচ্ছে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

লোকসানের ঝুঁকিতেও চালু হচ্ছে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’

ফাইল ছবি

কম খরচে আম পরিবহণের জন্য লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে চতুর্থবারের মতো এবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চলবে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন। চলতি মাসের শেষের দিকে এই ট্রেনটি চালু করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এদিকে রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবারও চালু হচ্ছে ম্যাংগো ট্রেনটি। তবে দিনক্ষণ নির্ধারণ না হলেও দ্রুত ট্রেনটি চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা। 

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৫ মে কম ভাড়ায় আম পরিবহণের জন্য প্রথমবারের মতো ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি চালু হয় এবং ওই বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত আম পরিবহন করে ট্রেনটি। এসময় রেলওয়ে আয় করে ২ লাখ ১১ হাজার ৪৫৮ টাকা। দ্বিতীয়বার ২০২১ সালে ২৭ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ম্যাংগো ট্রেনে আম পরিবহণ করে রেলের আয় হয় ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯২০ টাকা। এছাড়া ২০২২ সালের ১৩ জুন ম্যাংগো ট্র্রেন চালু হয়। কিন্তু আমের ভরা মৌসুমে ট্রেনটি চালু না হওয়ায় মাত্র ১১ দিন আম পরিবহন করে ট্রেনটি। এসময় রেলওয়ের আয় হয় ৩ লাখ ১৯ হাজার ২৬৫ টাকা। ট্রেনটি ৫টি ওয়াগনের প্রতিটির বহন ক্ষমতা ছিল ৪৩ হাজার কেজি এবং ট্রেনটির প্রতিদিনের পরিচালনা খরচ ছিলো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ফলে প্রতিদিনই রেলওয়ের অন্তত ৭০ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছিল। তাই ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে চালুর মাত্র ১১ দিনেই ট্রেনটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল রেলওয়ে কর্তপক্ষ। 

এদিকে রেলওয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এবারও ট্রেনটি চালু করা হচ্ছে লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে। এতে করে রেলওয়ের ক্ষতি হলেও ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হলে আম ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। কারণ আম কেন্দ্রীক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তরা কম খরচে আম পাঠানোর জন্য ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনকেই বেছে নেন। গত বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় প্রতি কেজি আম নিতে ব্যবসায়ীদের খরচ হয়েছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা এবং রাজশাহী থেকে এক কেজি আমের ভাড়া ছিলো ১ টাকা ১৭ পয়সা। এবারও আগের ভাড়ায় বহাল থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। 

এদিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ম্যাংগো ট্রেন চালুর বিষয়ে বলেন, গত ৩ বছরের মতো এবারও কম ভাড়াতে ঢাকায় আম পরিবহণের জন্য ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করা হবে। গত বছর ট্রেনটিতে পণ্যবাহী ওয়াগণ ছিলো ৫টি। ব্যবসায়ীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এবার ট্রেনটিতে ৭ থেকে ৯টি ওয়াগন থাকবে। তিনি আরও বলেন, আম পরিবহনের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে দুইটি ট্রেন থাকবে, একটি ট্রেন যাবে, আরেকটি আসবে। এই ট্রেনে আম ছাড়াও বিভিন্ন ফলমূল ও কৃষিপণ্য পাঠাতে পারবেন কৃষক ও উদ্যোক্তারা। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর