আধুনিক শেড বানিয়ে বাণিজ্যিকভাবে খামার গড়েছেন মাদ্রাসাশিক্ষক জাকিরুল ইসলাম। দুটি গরু দিয়ে শুরু করেছিলেন, এখন তার খামারে আছে ১১৫টি ফ্রিজিয়ান গাভি...
ইউটিউব দেখে পরিবারের পরামর্শ নিয়ে দুটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেছিলেন মাদ্রাসাশিক্ষক জাকিরুল ইসলাম। পাঁচ বছরে এখন তার খামারে ১১৫টি গরু। খামার থেকে ৩০০ থেকে ৩৫০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। বছরে আয় প্রায় ২৫ লাখ টাকা। তার খামারে কয়েকজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ২০১০ সালে খামার শুরু করেন তিনি। আধুনিক শেড বানিয়ে বাণিজ্যিকভাবে খামার গড়েছেন। এখন তার খামারে ফ্রিজিয়ান ১১৫টি গাভি আছে। গরু লালনপালনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করছেন স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগ। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মকন্দপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে তার খামারটি গড়ে তোলা হয়েছে। খামারের প্রবেশমুখ দেখলে তেমন বড় কিছু মনে না হলেও ভিতরে ঢুকলেই দেখা মিলবে শতাধিক গরু।
জাকিরুল ইসলাম জানান, তার খামার গড়ে তোলার পথটা সহজ ছিল না। শুরুর দিকে কয়েকবার হোঁচট খেলেও দমে যাননি। ইউটিউব দেখে পরিবারের পরামর্শ নিয়ে ২০১০ সালে দুটি দেশি গরু দিয়ে শুরু করেন শখের খামার। শুধু গরু লালন পালন নয়; এর পাশাপাশি তিনি ভেড়াও পালন করছেন।
জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০২১ সালে সাড়ে ১০ বিঘা জমির ওপর আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয় খামারটি। গরু চুরি থেকে রক্ষা করতে নেওয়া হয়েছে কড়া নজরদারি। খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, গরুগুলোকে সময় মতো খাবার দেওয়া, গরুর যত্ন নেওয়াসহ খামারের বিভিন্ন কাজের জন্য রাখা হয়েছে ছয়জন শ্রমিক। খড় ও ঘাস কাটার জন্য রয়েছে একটি মেশিন। জাকিরুলের খামারটি দেখতে এবং পরামর্শ নিতে আসছেন অনেকেই।
বিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘বিরামপুর উপজেলাতে ছোট-বড় ৫২২টি গরুর খামার রয়েছে। স্থানীয়ভাবে দুধের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন স্থানে দুধ সরবরাহ হচ্ছে। খামারের গরু পালনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই