৩০ মে, ২০২৩ ২০:১৬

সুন্দরবনে পর্যটক-বনজীবী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

সুন্দরবনে পর্যটক-বনজীবী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে সব ধরনের মৎস্য আহরণে চলমান ১০৩ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এবার দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবী প্রবেশও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। ১ জুন (বুধবার দিবাগত মধ্যরাত) থেকে ৩১ আগস্ট দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও ২৯১ প্রজাতির মৎস্য সম্পদের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এর আগে সামুদ্রিক মৎস্য প্রজাতির প্রজননে মৎস্য বিভাগ ২০ মে মধ্যরাত থেকে ৫৬ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি ওইদিন থেকে সুন্দরবনে সব ধরনের মৎস্য আহরণে ১০৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয় বন বিভাগ।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসের জানান, সুন্দনবনে বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটর। সুন্দবনে বর্তমানে ১১৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দুই লাখ হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রানী রয়েছে। এই ম্যানগ্রেভ বনের ৩টি এলাকাকে ১৯৯৭ সারের ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হ্যরিটেজ সাইড। সুন্দরবনে মধ্যের ১৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার জলভাগে কুমির, ৬ প্রজাতির ডলফিনসহ ২৯১ প্রজাতির মাছ রয়েছে। সুন্দরবনের এই বিশাল জলভাগ বিশ্বের বৃহৎ জলাভূমি রামসার এলাকা হিসেবেও স্বীকৃত। সুন্দরবন জীববেচিত্র্যে ভরপুর। সেকারণে বন বিভাগ সুন্দরবনের প্রতি বছরই বন্যপ্রাণি ও মাছের প্রজনন মৌসুমে কয়েক মাসের জন্য দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীদের প্রবেশে বন্ধ ও মৎস্য সম্পদ আহরণে নিষেধাজ্ঞার জারি করে থাকে। এবার সুন্দরবনে মাছের প্রজনন মৌসুমে ২০ মে মধ্যরাত থেকে মৎস্য আহরণে ১০৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চলমান ১০৩ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে নতুন করে ১ জুন (বুধবার দিবাগত মধ্যরাত) থেকে ৩১ আগষ্ট দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সকল ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রসহ সব ধরনের পর্যটক ও বনজীবীদের প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞা কঠোর ভাবে প্রতিপালনে কাজ করছে বন বিভাগ। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সুন্দরবনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণসহ ও মাছের প্রজনন নির্বি্নি হবে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।   

 

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

সর্বশেষ খবর