তিন মাসের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনেই কয়েক শত জেলে-বনজীবীসহ ইকো-ট্যুরিস্টরা (প্রতিবেশ পর্যটক) বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা সুন্দরবনে গেছেন। গতকাল ভোর থেকে বন বিভাগের কাছ থেকে বৈধ পাস-পারমিট নিয়ে ৪ শতাধিক জেলে-বনজীবীর পাশাপাশি ট্যুরিস্ট জলোযানে করে সুন্দরবনে পৌঁছেছেন। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের দুটি রেঞ্জ অফিস ও করমজল পর্যটন কেন্দ্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জ অফিসসহ পর্যটন কেন্দ্র করমজল, আলীবান্দা, কটকা, কচিখালী, সুপতি থেকে বেশি ইকো-ট্যুরিস্ট গেছেন। প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর প্রথম দিনেই একমাত্র করমজল পর্যটন কেন্দ্রে ১১০ জন ইকো-ট্যুরিস্ট ভ্রমণ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মো. আজাদ কবির। বাগেরহাটের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে অফিস থেকে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর প্রথম দিনেই আরও ৩ শতাধিক জেলে মাছ ও শিলা কাঁকড়া আহরণ করতে নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত বোটে সুন্দরবনে গেছেন।
সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা ও রাকুতলা গ্রামের ইয়াকুব আলী বয়াতি, সেকেন্দার খলিফা, খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলে তৈয়াব হাওলাদার জানান, শুধু শরণখোলা রেঞ্জ থেকে ১০৯ জন জেলে পাস-পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করতে গেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরও কয়েক হাজার জেলে পাস পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে যাবেন।
এসব জেলে বনজীবীরা আরও বলেন, ‘বংশ পরম্পরায় সুন্দরবনে মাছসহ বনজ সম্পদ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। সুন্দরবনে এই তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা সময়ে আমাদের অনেক কষ্ট করে পরিবারসহ জীবিকা নির্বাহ করতে হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই