গোলাপি রঙের পদ্ম ফুটেছে। শিশির ভেজা ফুটন্ত পদ্মফুলগুলো যেন সজিব,প্রাণবন্ত। ভেজা স্নিগ্ধ এসব পদ্মগুলো গ্রামীণ জনপদের শীতের আবহকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করছে।
নদী-নালা কিংবা বিলে নয় দৃষ্টিনন্দন পদ্মফুল ফুটেছে খালের পানিতে। অনেকটা এলাকা জুড়ে এই পদ্মফুল মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। সকাল ও বিকেলে মানুষের আনাগোনায় জায়গাটি নান্দনিকতা পেয়েছে। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া মুন্সিপাড়ায় এই পদ্মফুলের দেখা মিলবে। প্রকৃতির এ অনিন্দ্যসুন্দর দৃশ্য দেখতে অনেকেই আসছেন। ফুল না ছেঁড়ার সতর্কতা করে সাইনবোর্ডও ঝোলানো হয়েছে। সূত্র জানায়, কামারপুকুর এলাকাটি মূলত ইটভাটার জন্য বিখ্যাত। এই একটি ইউনিয়নে ২২টির বেশি ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটার মালিকরা নির্বিচারে মাটি কেটে নিলেও সেখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যেগুলোতেও সারাবছর পানি থাকে। বিস্তীর্ণ এলাকার এসব ইটভাটার গর্তের পানি ফুটেছে সারিসারি পদ্মফুল। পদ্মফুলের সমাহারে দর্শনার্থীরা উচ্ছ্বসিত। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় শিশু-কিশোররাও খুশি এতে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন রশিদ লিটন জানান, এখানে ফুটে রয়েছে সাদা আর গোলাপি রঙের পদ্মফুল। প্রতিদিনই এসব দেখার জন্য লোকজনের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। এখানকার পদ্মফুল যেন কেউ না ছেঁড়ে তার জন্য সতর্ক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। ফুল ছিঁড়লে ৫০০ টাকা জরিমানা। ফলে দর্শনার্থীরা ভয়ে কেউ পদ্মফুল ছিঁড়েন না।
পদ্মফুল দেখতে আসা সৈয়দপুরের সাহেবপাড়ার তরুণী সারাবান তহুরা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পদ্মবিলের ছবি দেখেছি। আশেপাশে বেড়ানোর মতো কোনো জায়গা নেই। ঘরবন্দি সময় কাটাতে হচ্ছিল। এখানে এসে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখে অনেক ভালো লাগছে।
কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, পদ্মফুল ঘিরে মানুষের আনাগোনা ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/এএ