বন্ধুর চা বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ গ্রামের সমতল কৃষি জমিতে চা বাগান করে স্বাবলম্বী বোচাগঞ্জের ফজলে মুকিম। গত পাঁচ বছর ধরে চা বাগান থেকে উৎপাদিত চা বাজারজাত করছেন। বর্তমানে তার বাগানে ১০/১৫ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও গ্রামের ফজলে মুকিম পেশায় একজন সহকারী অধ্যাপক হলেও কৃষিকাজে তিনি খুব মনোযোগী। ধান, গম, ভুট্টার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বাগান করা তার শখ। আর এই শখ থেকেই বাণিজ্যিকভাবে সমতলে চা বাগান করে তাক লাগিয়ে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি।
বোচাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৭ কিমি. দক্ষিণে সেতাবগঞ্জ-সুকদেরপুর পাকা সড়কের পাশে খনগাঁও গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে ফজলে মুকিমের চা বাগান। ২০১৯ সালে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় বন্ধুর চা বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েই ফজলে মুকিম নিজ বোচাগঞ্জের খনগাঁও গ্রামে তিন একর সমতল জমিতে চা বাগান করার উদ্যোগ নেন। প্রথম দিকে অনেকেই তার চা বাগান করার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে না দেখলেও পরবর্তীতে মেধা ও শ্রমের কারণে ২০২০ সাল থেকেই চা পাতা বিক্রি শুরু করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় সবার নজরে আসেন তিনি। বছরে ৪/৫ বার চা পাতা তুলে তা বিক্রি করা হয়। এ অঞ্চলের সমতল ভূমিতে ঝুঁকি নিয়ে চা বাগান করার চিন্তাকে তিনি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বলে মনে করেন। তিনি তার অদম্য ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে বাগান থেকে উৎপাদিত চা বাজারজাত করছেন এবং তার বাগানে প্রতিদিন ১০/১৫ জন শ্রমিক বাগান পরিচর্চায় কাজ করেন। অনেক উৎসুক মানুষ প্রতিদিন তার চা বাগান দেখতে আসেন। অনেকেই চা বাগান করার ইচ্ছা পোষণও করে তার কাছে পরামর্শও নেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই