দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরিডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২৮৭ জন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এই 'মর্মান্তিক' ফেরি দুর্ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধান ও জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো ব্যাপকভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌ ও কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ইনচিয়ন থেকে দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন দ্বীপ জেজুতে যাওয়ার সময় ৪৭৫ যাত্রী নিয়ে ফেরিটি ডুবে যায়। যাত্রীদের অধিকাংশই ছিল স্কুলের শিক্ষার্থী। কোস্টগার্ড জানিয়েছে, এ ফেরি দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৭৯ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিখোঁজ যাত্রীরা আর বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে প্রবল স্রোতের কারণে এ উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা ও জনপ্রশাসন বিষয়ক মন্ত্রী জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ১৬৯টি নৌযান ও ২৯টি বিমান এ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। ফেরিটি কী কারণে ডুবেছে তা নিশ্চিত জানা না গেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির নিচে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বিবিসি, এএফপি।