জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে তফসিল ঘোষণা করেন জাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. খো. লুৎফুল এলাহী, ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রাশিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাত পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান জাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের গঠনতন্ত্রের ৮ ধারা ও উপাচার্যের ঘোষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হলো। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ১২ মে, খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ ১২ মে, খসড়া ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণের শেষ তারিখ ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত, খসড়া আচরণবিধি সম্পর্কে মতামত গ্রহণের শেষ তারিখ ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত, চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ ৩০ জুন, চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ ৩০ জুন।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ১ জুলাই থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত, মনোনয়নপত্র জমাদান ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ৯ জুলাই, মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ ১১ জুলাই, আপিলের শুনানি গ্রহণ ও আপিলের রায় ঘোষণা ১৩ জুলাই, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ১৫ জুলাই, নির্বাচনী প্রচারণা ১৬ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুলাই, ভোটগ্রহণ ৩১ জুলাই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (জাকসু) বা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। একই বছর প্রথম জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এক ছাত্রের বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধলে সে সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাকসু ও হল সংসদ বাতিল করে। এরপর ৩২ বছর পার হলেও আলোর মুখ দেখেনি জাকসু।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম