অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার ব্রিজে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে লাখো মানুষ গাজার পক্ষে এবং যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিশাল মানবপ্রাচীর গড়ে তুলেছেন। রবিবার (৩ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এই পদযাত্রায় নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের হিসাবে অন্তত ১ লাখ মানুষ অংশ নেন, যা সিডনির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ সমাবেশ। আয়োজকদের দাবি, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ লাখ।
১.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রিজজুড়ে গড়ে ওঠা এই মানবপ্রাচীর একপর্যায়ে জনসমাগমের ভিড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। নিউ সাউথ ওয়েলস সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনুমতি পাওয়ার পর ‘ফিলিস্তিন অ্যাকশন গ্রুপ’ আয়োজিত এই পদযাত্রা ‘মানবতার বিশাল মিছিল’ হিসেবে ইতিহাসে স্থান পায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে প্রতি রবিবার গাজা সমর্থনে মিছিল করে আসা এ সংগঠন এবারই প্রথম হারবার ব্রিজে পদযাত্রা আয়োজন করে।
মিছিলে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ কেউ হাতে তৈরি পোস্টার ও খালি হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে অংশ নেয়, যা গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অংশগ্রহণকারীরা ‘ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন’সহ নানা স্লোগান দেন। পর্যটকরাও ব্রিজের ওপর থেকে হাত নাড়িয়ে সমর্থন জানান।
পদযাত্রায় নিউ সাউথ ওয়েলসের পাঁচজন লেবার এমপি, দুই মন্ত্রী পেনি শার্প ও জিহাদ দিবসহ বহু রাজনীতিক এবং আলোচিত ব্যক্তি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অংশ নেন। প্রাক্তন ফেডারেল মন্ত্রী এড হুসিক ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিভিন্ন বয়স, পেশা ও সম্প্রদায়ের মানুষ এই প্রতিবাদে অংশ নেন। ‘গে জুইশ ফর গাজা’ লেখা পোস্টার হাতে একদল ব্রিটিশ যুবকও উপস্থিত ছিলেন। আয়োজক জশ লিস বলেন, “এটি আমার কল্পনার চেয়েও বড় একটি সমাবেশ। এখন রাজনীতিকদের মানুষের কণ্ঠ শুনতেই হবে।”
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার পিটার ম্যাককেনা বলেন, এটি সিডনিতে তার দেখা সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
সোর্স: দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/আশিক