বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে ইটের টুকরো এবং খানাখন্দ এখন যানবাহন যাত্রীদের জন্য জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সড়কে ছোট-বড় দুর্ঘটনা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহনও।
বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচল করা সাকুরা পরিবহনের এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার পলাশ হাওলাদার বলেন, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। সড়কের অধিকাংশ স্থানে ছোট-বড় গর্ত। অনেক স্থানে রাস্তা ফুলে ও ফেটে কার্পেটিং উঠে গেছে। কোথাও কোথাও বিশাল অংশ দেবে আছে। বর্তমানে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সেখানে পানি জমে রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। এতে যাত্রীবাহী বাস খানাখন্দের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। যার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।
মহাসড়কের পাশের বাসিন্দা মো. সাহাবউদ্দিন বলেন, বর্তমানে খানাখন্দে সড়ক বিভাগ ইট ও বালু ফেলছে। বৃষ্টিতে বালু ধুয়ে যাচ্ছে। যানবাহনের চাকার চাপে ইট ভেঙে যায়। চাকার নিচে পড়ে একেকটি খোয়া বুলেট গতিতে ছুটে। এসব ইটের খোয়া পাশ দিয়ে চলাচল করা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। মহাসড়কের আশপাশের বাসিন্দারাও এ নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, বর্ষার কারণে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের ৪৯ কিলোমিটারে ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এখন মেরামত কাজ করা সম্ভব নয়। আপদকালীন সমাধানের জন্য খানাখন্দে ইট ও বালু দেওয়া হচ্ছে। ইটের টুকরায় দুর্ঘটনা ঘটার বিষয়টি স্বীকার কওে তিনি বলেন, এর সমাধান দেওয়া তো সম্ভব নয়।