চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসংলগ্ন বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে মার্কিন সামরিক বিমান এবং বন্দরনগরীর একটি হোটেলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব আলোচনা চলছে তা নাকচ করে দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।
আইএসপিআর বলছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের অংশগ্রহণে সাত দিনব্যাপী যে যৌথ মহড়া চলছে, তার অংশ হিসেবেই মার্কিন সেনারা চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। অনলাইনভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ বিষয়ে প্রতিবেদন করেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকে ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ নামের এই যৌথ মহড়ার উদ্বোধন করা হয় গত রবিবার। ঘাঁটি জহুরুল হকের অধিনায়ক, এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আবদুল্লাহ মহড়ার উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মহড়ার মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মেডিভ্যাক (উদ্ধার অভিযান) সমন্বয়, বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও বৈমানিক কার্যক্রম, প্যারাসুট ও লিটার রিগিং, রোটারি-উইং হোইস্ট অপারেশন, সামুদ্রিক ও বন্যা মোকাবিলা কার্যক্রম, কমব্যাট রাবার রেইডিং ক্রাফট (সিআরআরসি), জঙ্গল সারভাইভাল ও দুর্ঘটনাস্থল ব্যবস্থাপনা এবং মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ প্রতিরোধ (এইচএডিআর)।
আইএসপিআর বলছে, দুই দেশের বিমানবাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়, আন্তঃকার্যক্ষমতা জোরদার করা এবং সহযোগিতা শক্তিশালী করা এ মহড়ার উদ্দেশ্য। পাশাপাশি মহড়ার মাধ্যমে বিমানবাহিনী, চিকিৎসা, প্রকৌশল ও লজিস্টিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে স্থানীয় জনগণকে সেবা দেওয়া হবে, যা দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বন্ধন আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের শার্জ দি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন মঙ্গলবার ঘাঁটি জহুরুল হকে গিয়ে মহড়া পরিদর্শন করেন। পরে তিনি দুই দেশের বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সাত দিনের এই মহড়া বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।