টানা তিন মাস পর শুরু হয়েছে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ। গতকাল ভোর ৬টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাপ্তাই হ্রদে থেকে আহরিত মাছ অবতরণ করা হয় রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের উন্নয়ন ও বিপণি কেন্দ্রের ফিশারি ঘাটে। সেখানে রাজস্ব আদায়ের পর হ্রদের মাছ বাজারজাত করা হয় ঢাকা ও চট্টগ্রামে। এতে করে উচ্ছ্বসিত মৎস্যজীবীরা।
গত শনিবার মধ্যরাত অর্থাৎ রাত ১২টা ১ মিনিটে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ। এরপর শুরু হয় মৎস্যজীবী ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও জেলেদের প্রাণচঞ্চলতা। টানা বেকার সময়ের পর আবারও কর্মসংস্থা ফিরে পেয়ে আনন্দিত মৎস্যজীবীরা। রাঙামাটি ফিশারি ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, কেউ বরফ ভাঙছে। কেউ ড্রাম টানছে। কেউ আবার গাড়ি প্রস্তুত করছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগ মুহূর্ত থেকে শুরু হয় মৎস্যজীবীদের এমন ব্যস্ততা। রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের ২৬ হাজার জেলেসহ প্রায় ১০০ জন ব্যবসায়ীর অধীনে শ্রমিক ও কর্মচারী আছে প্রায় ২০ হাজার। সবমিলে অর্ধলাখ মানুষই রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের ওপর নির্ভরশীল।
রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাফুজ উদ্দীন বলেন, বন্ধকালীন সময়ে কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন হয়েছে। কিন্তু বন্যার কারণে কিছুটা শঙ্কা থেকে যায়। কারণ হ্রদের পানি এখনো পরিষ্কার হয়নি। জেলেরা ভালোভাবে জাল ফেলতে পারলে মাছের বাম্পার আহরণ হবে।
রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেন, চলতি বছরের ১ মে থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ ছিল। বন্ধকালীন সময় অবৈধ মাছ নিধনসহ পোনা মাছের রক্ষণাবেক্ষণে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএফডিসির সব কর্মকর্তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আশাকরি মাছ আহরণে সফলতা আসবে।