ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, আগ্রাসী ইসরায়েলি শাসনের কৌশলগত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা ইরানের কাছে পরাজিত হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান শত্রুর হুমকিকে কখনই শেষ মনে করে না এবং দেশের প্রতিরক্ষার কার্যক্রম সর্বদাই প্রস্তুত।
রবিবার সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে জেনারেল হাতামি বলেন, ইরানি জাতির অলৌকিক প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখে জায়নবাদী শাসনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এই শাসনের নৃশংসতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ১২ দিনের চাপানো যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইরানি জাতির বিরুদ্ধে যে অপরাধ করেছে, তা স্পষ্ট।
জেনারেল হাতামি আরও বলেন, দুই বছর ধরে গাজায় এবং তাদের ৮০ বছরেরও কম সময়ে অস্তিত্বে অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসন থেকে ইসরায়েলের বর্বর কর্মের প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, সিনিয়র কমান্ডার, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, এবং সম্মানিত নাগরিকদের শাহাদাতের মতো ক্ষতির শিকার হওয়া সত্ত্বেও ইরান এই অসম যুদ্ধে জয়ী হয়েছে, শত্রুকে গুরুতর ক্ষতি করেছে এবং তাদের লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিয়েছে।
সেনাপ্রধান আরও বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ক্ষমতা অক্ষত ও কার্যকর ছিল এবং এখনো আছে। তিনি বলেন, ইরান প্রতিরক্ষা শিল্প, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে তার অগ্রগতি আরও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে চালিয়ে যাবে।
জেনারেল হাতামি বলেন, বৈশ্বিক ঔদ্ধত্য ইরানের ধর্মীয় পরিচয়, দেশপ্রেম, এবং বৈজ্ঞানিক উন্নতির কারণেই ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিরোধিতা করে।
তিনি উল্লেখ করেন, সশস্ত্র বাহিনীর সব শাখা, বিশেষ করে সেনাবাহিনীর চারটি শাখা, দ্রুত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নতি করছে এবং ব্যাপক প্রতিরোধের জন্য তাদের যুদ্ধ প্রস্তুতি বাড়াতে আগের চেয়ে আরও বেশি সংকল্পবদ্ধ।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক এবং আবাসিক এলাকায় ১২ দিনের আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। এর জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালায়। ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ডস কোর অ্যারোস্পেস ফোর্স অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩-এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ২২ ধাপে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যা ইসরায়েলের শহরগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে।
২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে যুদ্ধ বন্ধ হয়।
সূত্র: মেহের নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল