প্রয়াত ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে দেখতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রসিকতার ছলে এমন আকাঙ্ক্ষাই পোষণ করেছেন তিনি। গত সপ্তাহে ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন পোপ ফ্রান্সিস। তার প্রয়াণে বিশ্বজুড়ে সবার নজর এখন ভ্যাটিকান সিটির দিকে। কে হবেন নতুন পোপ তা নিয়ে চলছে জল্পনা।
এ আবহেই পরবর্তী পোপ হিসেবে কাকে দেখতে চান- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প মজা করে বলেছেন, ‘আমিই পরবর্তী পোপ হতে চাইব। এটিই হবে আমার এক নম্বর পছন্দ।’ এ কথা বলার পরই কে আসলে পোপের দায়িত্ব পেতে পারেন, সে বিষয়ে নিজের মতামত জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আসলে আমার নির্দিষ্ট কাউকে পছন্দ নেই। তবে আমাকে বলতেই হচ্ছে, ‘আমাদের একজন কার্ডিনাল আছেন। তিনি নিউইয়র্ক থেকে এসেছেন। তিনি খুব ভালো। -রয়টার্স
দেখা যাক কী হয়।’ কার্ডিনাল টিমোথি ডোলান নিউইয়র্কের আর্চবিশপ। পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মধ্যে তার নাম নেই। তবে নিউজার্সির নেওয়ার্ক শহরের আরেক মার্কিন কার্ডিনাল জোসেফ টোবিনকে পরবর্তী পোপ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবশ্য আজ পর্যন্ত কখনো কোনো পোপ নির্বাচিত হননি। পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন ল্যাটিন আমেরিকা থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ। আগামী ৭ মে থেকে শুরু হচ্ছে নতুন পোপ নির্বাচন প্রক্রিয়া। সেদিনই শুরু হবে গোপন কনক্লেভ। গোটা বিশ্ব থেকে প্রায় ১৩৫ জন কার্ডিনাল এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন। তারাই নির্বাচন করবেন নতুন পোপ।
দ্বিতীয় মেয়াদের শততম দিন উদ্যাপন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের শততম দিন প্রচারণার মতো বক্তব্য দিয়ে, নিজের সাফল্যের কথা তুলে ধরে এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের আক্রমণ করে উদ্যাপন করেছেন। মঙ্গলবার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ওয়ারেন শহরে এক সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করেন ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা। সমাবেশে নিজের সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি তার ক্ষমতাকে ‘গভীর পরিবর্তন’ আনার জন্য ব্যবহার করছেন। তিনি একে ‘কাণ্ডজ্ঞানের বিপ্লব’ বলে অভিহিত করেছেন। বিবিসি জানিয়েছে, রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট পূর্বসূরি জো বাইডেনকে উপহাসের পাশাপাশি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যানকে নতুন সমালোচনার লক্ষ্যস্থল করেছেন এবং তার ‘জনপ্রিয়তা হ্রাস’ পাচ্ছে আভাস দেওয়া জরিপগুলো খারিজ করেছেন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনতে সফলতা দেখিয়েছেন কিন্তু তিনি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করায় মার্কিন অর্থনীতি একটি সম্ভাব্য রাজনৈতিক দুর্বলতার শিকার হচ্ছে। ডেট্রয়েটের নিকটবর্তী শহর ওয়ারেনের সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র শুরু করেছি। আপনারা এখনো কিছুই দেখেননি।’ যুক্তরাষ্ট্রের মোটরগাড়ি শিল্পের এই কেন্দ্রে রাখা বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, মিডওয়েস্টান অঙ্গরাজ্যগুলোতে নতুন কারখানা খোলার জন্য মোটরগাড়ি কোম্পানিগুলো ‘লাইন ধরেছে’।