প্রতিবছর বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে মাঠে কাজ করা কৃষক ও গ্রামীণ জনপদ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এ বাস্তবতায় জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় দেশের বৃহত্তর স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবেশবাদী সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তালবীজ রোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তালগাছ শুধু বজ্রপাত প্রতিরোধক নয়, এটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পাখির বাসস্থান, মাটি ও জল সংরক্ষণ এবং গ্রামীণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও অপরিহার্য।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বাশথুপী ও কালাই উপজেলার কাটাহার -সমশিরা গ্রামের রাস্তার পাশে তালবীজ রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি এম রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে এ বছর পাঁচ হাজার তালবীজ রোপণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ গ্রামের রাস্তার দুপাশে এক হাজার তালবীজ রোপণ করা হয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল উপজেলা শাখার সভাপতি এম রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে অংশ নেন পরিবেশকর্মী শাহজাহান আলী, বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক আরমান হোসেন, অর্থ সম্পাদক শামিম আহমেদ, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আম্মার হোসেন, সদস্য মারুফ হোসেন, মুন্না, রাব্বি হাসান, ইনসান, আ. করিম।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল উপজেলা শাখার সভাপতি এম রাসেল আহমেদ বলেন, তালগাছ প্রাকৃতিক বজ্রনিরোধক হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, মাটি সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এ সময় স্থানীয় কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক কৃষক মারা যায়। তালবীজ রোপণ করলে অন্তত আমাদের পরিবার ও জনপদ নিরাপদ থাকবে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ক্ষেতলাল উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে এবং গ্রামের রাস্তা সবুজ রাখতে তালবীজ রোপণে অংশ নিয়েছি। এটি শুধু প্রাণরক্ষা নয়, পরিবেশকেও সমৃদ্ধ করবে।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী শাহজাহান আলী বলেন, আমরা আশা করি এই ধরনের উদ্যোগ দীর্ঘস্থায়ী হবে। প্রতিটি গ্রাম ও রাস্তার ধারে তালগাছ লাগানো গেলে বজ্রপাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ