রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে প্রাধ্যক্ষকে সহায়তার জন্য রাখা হয়েছে আবাসিক শিক্ষকের পদ। এসব আবাসিক শিক্ষক সংশ্লিষ্ট আবাসিক হলে আবাসিকভাবে অবস্থান করবে ও হলের সার্বিক খোঁজখবর, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, খাবারের মান পর্যবেক্ষণ, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন, সেমিনার-লাইব্রেরির মান উন্নয়ন ও সিট বরাদ্দ দেয়াসহ বিভিন্ন কাজে প্রধ্যাক্ষকে সহায়তা করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাই হলের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলে বর্তমানে ৬৯ জন আবাসিক শিক্ষক রয়েছেন। প্রতি হলে একজন করে আবাসিক শিক্ষক থাকে। প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন হলে কয়েকজন সহকারী আবাসিক শিক্ষক রাখা হয়। যেসব শিক্ষক অবিবাহিত তারাই সহকারী হিসেবে থাকেন। বিভিন্ন মেয়াদে তারা দায়িত্ব পালন করেন। তবে একজন শিক্ষক সর্বোচ্চ ৩ বছর দায়িত্বে থাকেন। তাদেরকে মাসিক ভাতা দেয়া হয় ১৫০০ টাকা।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলগুলোতে পদে আবাসিক শিক্ষক থাকলেও তারা কাজ করছেন অনাবাসিক শিক্ষকের মতো। রাতে হলে থাকার জন্য কক্ষ বরাদ্দ থাকলেও তারা দিন-রাত কোনো সময়ই হলেও থাকছেন না। আবাসিক শিক্ষকরা বিন্দু পরিমাণ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন না। তারা নিয়মিত অফিসে আসেন না। শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার কথা থাকলেও তারা হলের বিষয়ে কোনো তথ্যই রাখছেন না। এই সুযোগে অবৈধ সিট দখল, চাঁদাবাজি ও চুরির মতো ঘটনা আবাসিক হলগুলোতে নিত্য দিন ঘটে চলছে। এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি ঘটনাও ঘটছে প্রতিদিন। এছাড়াও আবাসিক হলগুলোর বাথরুমসহ বিভিন্ন জায়গা থাকছে অপরিচ্ছন্ন।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানউদ্দিন বলছেন, আবাসিক শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব পালন করছে না এটা আমরাও জানি। বর্তমান সময়ে এটা আরো বেশি হচ্ছে। আমরা আবাসিক শিক্ষকদের সঙ্গে বসে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।
বিডি প্রতিদিন/১১ মার্চ ২০১৭/হিমেল