বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেছেন, ‘শিক্ষিত তরুণদের নিজেদের দক্ষতাকে শাণিত করতে হবে। দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারলে চাকরি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কারণ পরিবর্তিত বিশ্বে টিকে থাকার জন্য দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। দক্ষতার ওপর ভর করেই এগিয়ে যেতে হবে শিক্ষিত তরুণদের।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘টেকনিকস ফর দ্য প্রিপারেশন অব প্লাস্টিনেটেড অর্গানস ফর দ্য এনাটমি মিউজিয়াম’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভাসু’র প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ, প্রফেসর ড. আবুল কাসেম, প্রফেসর মো. আ. হালিম।
প্রফেসর ড. লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। কর্মশালায় চারটি টেকনিক্যাল সেশনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে উক্ত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। আমি মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের সময় এই প্রকল্পের সফলতার হার ছিল ৪২ শতাংশ। বর্তমানে এই হার ৯২ শতাংশ।’
প্রফেসর আবদুল মান্নান আরও বলেন, ‘যেকোনো পরিকল্পনা প্রণয়নে বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণের সময় গুরুত্ব দিতে হবে আপনি বাংলাদেশকে কোথায় দেখতে চান? অন্যথায় এর লক্ষ্যচ্যুতি ঘটতে পারে। বর্তমান সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে যে অগ্রাধিকার দিয়েছে অতীতে তা কখনো দেখা যায়নি। উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার ২০০ মিলিয়ন ডলারের আরও একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এটি বাস্তবায়নের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম