দুই যুগ পর শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম কলেজের প্রিয় প্রাঙ্গণ ও কর্ণফুলীর তীরে বোটক্লাবে দিনভর স্মৃতিতে ভাসলেন এ ব্যাচের তিনশ’ সাবেক সতীর্থ। কলেজ ক্যাম্পাসের তিন শতাধিক সতীর্থ ও তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্ণফুলীর তীরে স্মৃতিতে ভাসলেন তারা।
দেড়শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজ। এ কলেজের এইচএসসি ১৯৯৫ ব্যাচের বিজ্ঞান বিভাগে ক, খ, গ এবং মানবিক বিভাগের ঙ , চ বিভাগের সাবেকরা দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে প্রথমবারের মতো মিলনমেলায় জড়ো হয় এ দিন।
১৯৯৩-১৯৯৫ পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়ানো শিক্ষার্থীরা এখন সমাজের নানাক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে পুরনো বন্ধুদের দেখা মেলে সেই ‘কলেজ করিডোরে’।
এদিন সকাল ৮ টায় সবাই চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়। পুনর্মিলনী আয়োজক বন্ধুরা সতীর্থদের স্বাগত জানায়। ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় সবাই যেন সদ্য কৈশোর পেরোনো উচ্ছল তারুণ্যে ফিরে গেছে। এরপর সবাই দল বেধে কর্ণফুলীর তীরে চট্টগ্রাম বোটক্লাবের পৌঁছে।
ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরির রেশ নিয়ে স্মৃতির ভেলায় ভেসে বেড়ানো, আবেগ-অনুভূতির ভাগাভাগি, নিজেদের ফ্রেমে বন্দী রাখাসহ ,আড্ডা-খুনসুটিতে মাতলেন সবাই।
সতীর্থ ও পরিবারের সদস্যদের জন্য রেজিস্ট্রেশন শেষে স্যুভেনিয়র বিশেষ স্মরণিকা ‘কলেজ করিডোর’ সংগ্রহ, স্মারক সামগ্রী, দিনভরফর্দ মেনে খাবার পরিবেশনা, স্মৃতিচারণ, জাদু প্রদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফেল ড্র সহ নানা আয়োজন।
পুনর্মিলনীয় শেষে সতীর্থদের কথা- অতীতের কথা গুলো, স্মৃতি গুলো/মনের মাঝে রাইখো, রাস্তা ঘাটে দেখলে আমায়, বন্ধু বইলাইডাইকো! দিনভর স্মৃতিকাতর কণ্ঠে এভাবে- ১৯৯৫ সালের পর অসাধারণ এক শুক্রবারের স্মৃতি। এসেছিলো অনেকে, ভেসেছিলো আনন্দে, গেয়েছিলো গান। যেনো ডেকেছিলো খুশির বাণ!
কলেজের এইচএসসি ৯৫ ব্যাচের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ছিল। তাদের মধ্যে তাজউদ্দীন আহমেদ, মুহাম্মদ আবু তাহের, মিজানুর রহমান,আদনান মাকিদ, এনামুল আজিম, মোহাম্মদ মাহবুবুল কাদের ও মেরী বর্দ্ধনের অকাল মৃত্যু হলেও ২৪ পর পর এসে বন্ধুদের স্মৃতিতে অমলিন ছিল তারাও।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন